Quantcast
Channel: Eisamay
Viewing all 1736 articles
Browse latest View live

গাছপাঁঠা রাঁধো আজ কষে, লেবুটি মাখিও, খাব বসে...

$
0
0

পচা মাংস বা ভাগাড়ের মাংসের আতঙ্কে এখনও ভুগছে কলকাতাবাসী। রেস্তোরাঁর খাবারে রীতিমত ভয় ধরেছে সবার।
চিকেন ক্রসউইন্ডস বা স্মোকি চিকেনের মধ্যে নাকি ভাগাড়ের মাংস! সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে সতর্কবার্তা। তাই কচি পাঁঠা ছেড়ে আপাতত ভরসা রাখুন গাছ পাঠায়। মাংস-প্রিয় বাঙালির জন্য রইল লেমন এঁচড়।

লেমন এঁচড়

উপকরণঃ- এঁচড় (৭০০ গ্রাম), আদা-রসুন বাটা (২ চামচ), পোস্ত বাটা (১ চামচ), কাজুবাদাম বাটা (১ চামচ), লেবুর রস (২ চামচ), গোলমরিচ গুঁড়ো (২ চামচ), কাঁচালঙ্কা (কয়েকটা), টকদই (৩ চামচ), সাদা তেল, মাখন, নুন-চিনি (পরিমাণমতো)।

পদ্ধতি
প্রথমে এঁচড় ভালো করে কেটে পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। বড় করে কাটা এঁচড় সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে সাদা তেল ও মাখন গরম করে এঁচড়ের টুকরোগুলো দিয়ে ভাজুন। এবার আদা-রসুন বাটা ও টকদই দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানোর পর গোলমরিচ গুঁড়ো, পোস্ত, কাজুবাদাম, নুন, চিনি, কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাল করে আবাও কষিয়ে লেবুর রস ছড়িয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢেকে রান্না হতে দিন।

নামানোর আগে একটু মাখন দিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। আরও একটু লেবুর রস ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।


রমজানের উপোস শেষে, ভোজ খান জিটি রুটে

$
0
0

শ্রমণা গোস্বামী

রমজান মাস শুরু হতেই জিটি রুট রেস্তোঁরা নিয়ে এল রমজান স্পেশাল মেনু। জেমসন ইন শিরাজের এই রেস্তোঁরার জিভে জল আনা হরেক ডিশের সমাহার রমজান উদযাপনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। নিজেদের স্পেশাল মেনুর প্রথম স্বাদ জিটি রুট তুলে দিল হোপ ফাউন্ডেশনের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন শিশু কিশোরের হাতে। মেনুর উদ্বোধন করলেন ঈদে মুক্তি পেতে চলা বাংলা ছবি 'ভাইজান এলো রে' দুই নায়িকা শ্রাবন্তী, পায়েল এবং পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

কাবুল থেকে পেশওয়ার হয়ে পঞ্জাব, আউধ এবং কলকাতা। আফগানি খানার স্বাদ-গন্ধ সোজা আপনার ডিশে। ভারতীয় ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত এই সড়কপথ দেশের খাদ্য সংস্কৃতিকেও নানা ভাবে সমৃদ্ধ করেছে। সেই সমৃদ্ধির ছোঁয়াই ধরা পড়ল জিটি রুটের রমজান স্পেশাল মেনু কার্ডে। এখানে থাকছে শরবত-ই-আজম, মুর্গ পিয়াজু, মাটন হালিম, মুর্গ হালিম, কিমা কলেজি, বেবি কুলচা, রুমালি রুটি এবং মালাই কুলফি। দু-জনের জন্য খরচ পড়বে ট্যাক্স বাদ দিয়ে ৭৫০ টাকা। তাহলে আর দেরি কীসের? এই রমজানে বরং ঘুরেই আসুন জিটি রুট থেকে।


64242554

64242557


ঈদে মুক্তি পেতে চলেছে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা ছবি 'ভাইজান এলো রে'। এই ছবির দুই নায়িকা ও পরিচালক রমজান স্পেশাল মেনু উদ্বোধন করতে জিটি রুটে আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন হোপ ফাউন্ডেশনের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কয়েকজন শিশু-কিশোর। এই সব ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে একটা দিন অন্য রকম ভাবে কাটাতে পেরে উচ্ছ্বসিত দুই নায়িকাই।

গরমের দিনে আজ সাদা ভাত, থাক বাদ... আম দিয়ে বানানো, দক্ষিণী সাজানো...

$
0
0

মাঝে মধ্যে কালবৈশাখি হলেও এই মুহূর্তে গরম কমার কোনও লক্ষণ নেই। তীব্র দাবদাহে নাকাল সকলে। গরমের চোটে খাওয়ার ইচ্ছেও বেশ খানিক কমে গিয়েছে সকলের। তবে জুস, শরবত, স্যালাড আর প্রচুর পরিমানে জল নিশ্চয় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। অপবাদ আছে বাঙালি মাত্রই ভেতো। মাছ- ভাত থেকে শুরু করে মাংস- ভাত, পান্তা... আরও কত কিছু। গরম মানে কিন্তু আমের রমরমা। কাঁচা আম, পাকা আম, আমের চাটনি। শেষ পাতে একেবারে জাঁকিয়ে বসে। এবার বানিয়ে ফেলুন আম-ভাত। কাঁচা আমের সঙ্গে দক্ষিণের ধাঁচে বানানো এই ভাত আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে। দেখে নিন রেসিপি।

যা যা লাগছে:
কাঁচা আম- (৪-৫ টি)
বাসমতী চাল- ৫০০ গ্রাম
নারকেল কুরনো- দেড় কাপ
ঘি- ১ চামচ
নুন- ১ চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি- ১ কাপ
শুকনো লঙ্কা- ৪ টি
সর্ষে- ফোড়নের জন্য
আখের গুড়- ১ চামচ
হিং
কারিপাতা
বাদাম ভাজা
হলুদ- পরিমাণ মতো

কীভাবে বানাবেন:
চাল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখুন। আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। এবার একটি পাত্রে জল ফুটতে দিয়ে ওর মধ্যে চাল, এক চিমটে নুন, এক চামচ ঘি দিয়ে ফুটিয়ে ভাত তৈরি করে ঠান্ডা করুন। এবার গ্রাইন্ডারে আমের টুকরো, নারকেল কোরা, কাঁচালঙ্কা কুচি, শুকনো লঙ্কা, আখের গুড় দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা, হিং, কারিপাতা ফোড়ন দিয়ে আম নারকেলের পেস্ট দিন। নুন, হলুদ দিয়ে ভালো করে কষুন। এবার ওর মধ্যে ভাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। হয়ে এলে ভেজে রাখা বাদাম মেশান। পরিবেশনের আগে উপর থেকে শুকনো লঙ্কা আর কারিপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। পুরো রান্নাটাই মাঝারি আঁচে করবেন।

আজ কোনও প্যাঁচ নয় দোস্ত... কষে খাও শিনা-কিমা গোস্ত!

$
0
0

বাঙালি চিরকাল আমোদ, আলহাদ নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। ফ্যামিলি গেটটুগেদার হোক বা বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান। শুধু দেশি নয়। বিদেশী বিভিন্ন রকমের খাবারের রন্ধন প্রণালী জানতে বাঙালি এখন মাঝেমধ্যেই রীতিমতো রিসার্চ ওয়ার্ক করে। যে কোনও রকমের জমায়েতে জিভে জল আনা সমস্ত খাবারের কমতি নেই বাঙালি রসনার।

এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসে বিরাট পরিবর্তন দেখা যায়। যদি এই সময়ে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার করা না হয়, তবে এক মাস রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই এই সকল কথা মাথায় রেখে আপনাদের জন্য রইল শিনা-কিমা গোস্ত।
64321459


উপকরণ:
পাঠার মাংস (শিনা ৭৫০ গ্রাম), মাংসের কিমা (২৫০ গ্রাম), পেঁয়াজ (১টা), রসুন ও আদা বাটা (২ চামচ), টমেটো কুঁচি, হলুদ গুঁড়ো পরিমাণ মতো, লঙ্কা গুঁড়ো পরিমাণ মতো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো (১ চামচ), জিরে গুঁড়ো ( আধ চা-চামচ), ধনে গুঁড়ো (১চা-চামচ), চারমগজ বাটা (১চা-চামচ), গোলমরিচ গুঁড়ো (আধ চা-চামচ), টকদই (২০০ গ্রাম), সাদা তেল (আন্দাজ মতো), ঘি (২ চামচ), তেজপাতা (৪টে), ধনেপাতা, নুন-চিনি স্বাদ অনুযায়ী, গরম মশলা গুঁড়ো (দারচিনি, জয়ত্রি, সা-জিরা, বড় এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়ো)।

পদ্ধতি:
প্রথমে প্রেশার কুকারে সাদা তেল ও ঘি গরম করে নিন। এরপর তাতে তেজপাতা দিয়ে দিন। তার পর মাংস দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। মাংসটা ভাজা-ভাজা হয়ে গেলে তারপর কিমা দিয়ে কিছুটা নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ ও টমেটো কুঁচি দিয়ে ভেজে নিয়ে তাতে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষতে থাকুন।

এর পরে গুঁড়ো মশলাগুলো এক এক করে দিয়ে দিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে টকদই ও চারমগজ দিয়ে দিন । খানিকটা রান্না হবার পর গরম মশলা গুঁড়ো ও সামান্য ঘি দিয়ে রান্না করুন। এরপর আধ কাপ জল দিয়ে দিন। প্রেশার কুকার মুখ আটকে দিয়ে দুটো সিটি দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। প্রেশার কুকার থেকে নামিয়ে ধনেপাতা কুঁচি উপর দিয়ে ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আয় মন তীর্থে যাব, সিরাজের হালিম খাব!

$
0
0

দামু মুখোপাধ্যায়

রসনাপ্রেমীদের পক্ষে রমজান মাসে হালিমের হাতছানি এড়ানো অসম্ভব। আমিষে আসক্ত সেই সমস্ত রসিকজনের কথা মাথায় রেখে এবারও শহরের বনেদি রেস্তোরাঁয় শুরু হল হালিম উত্‍সব।

শিউলির গন্ধ আর আগমনী সুরে যেমন শারদোত্‍সবের পূর্বাভাস পাওয়া যায়, রমজান মাসে মাগ্রিবের আজানের মূর্চ্ছনায় মিশে যায় হালিমের স্বর্গীয় সুঘ্রাণ। নাক উঁচিয়ে তার উত্‍স সন্ধানে উতলা হয় মন, চঞ্চল হয় পা-জোড়া। গুমোট দুপুরের শেষে কালবৈশাখীর চোখ-রাঙানিকে থোড়াই কেয়ার করে তাই অমৃতের সন্ধানে হাজিরা দেওয়া মল্লিকবাজার মোড়ের সিরাজ গোল্ডেন রেস্তোরাঁর ফটকে।
64321748

রেস্তোরাঁয় সামনে ফুটপাথের উপরে অস্থায়ী ডেলিভারি কাউন্টার। গ্যাস চুল্লির নিভু আঁচে বসানো পেল্লাই হাঁড়ির ঢাকনা সরতেই সোনালি দীঘিতে ঢেউ উঠল। ডাবু হাতা ডুবিয়ে পর পর কৌটো উপচে দিলেন পরিবেশক। ভুর ভুর সুগন্ধে আমোদিত হল দিগ্বিদিক। দরজার পাশের নোটিশ জানান দিল, 'হালিম উত্‍সবে আপনি স্বাগত!'

রমজান উপলক্ষে নিত্যিদিন মোট পাঁচ কিসিমের হালিম তৈরি হচ্ছে সিরাজে। ভোজনবিলাসীদের আব্দার অনুযায়ী টেবিলে পেশ হচ্ছে মাটন আফগানি, মাটন ইরানি, মাটন হায়দরাবাদি, মাটন শাহি এবং চিকেন শাহি হালিমের স্বাদু সম্ভার। বর্ণে-গন্ধে-স্বাদের নিরিখে কেউ কারও চেয়ে কম যায় না!
64321763

'দীর্ঘ দিন যাবত আমরা হালিম উত্‍সবের আয়োজন করে আসছি,' জানালেন সিরাজের অন্যতম কর্ণধার ইশতিয়াক আহমেদ। ব্যাখ্যা করে বললেন, 'বছরের এই সময়টার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করেন আমাদের গ্রাহকরা। সিরাজের দমপোক্ত ঘরানার রান্না পরম্পরা ও রসনাগুণ বজায় রাখার ব্যাপারে কোনও আপসে রাজি নই। নিজস্ব কসাইখানা থেকে প্রতিদিন রেস্তোরাঁর রসুইঘরে এসে পৌঁছয় টাটকা রেওয়াজি মাংস। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে জোগাড় করা হয় সেরা মানের মশলা। আর অবশ্যই চোখ-কান বুজে অনুসরণ করা হয় নিজস্ব রেসিপি।'
64321839

হালিম রান্না করা যার-তার কাজ নয়। পাকা রাঁধুনি হলেই শুধু চলে না, চাই অসীম ধৈর্য্যও। জনাব ইশতিয়াকের ভাই আতিকুর রহমানের মতে, 'রান্নার জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ অন্তত ১৮ ঘণ্টা। প্রধান রাঁধিয়ের ইশারা মেনে রাতভর বিশাল হাঁড়িতে নিরন্তর খুন্তি নেড়ে চলেন সহকারীরা। পাঁচ রকম ডাল, গমের খুদ, চালের গুঁড়ো, যব, বার্লির সঙ্গে ঢিমে আঁচে একত্রে ফুটে চলে হাড়-মাংস। তাতে মেশে প্রায় ৩৬ রকমের মশলা। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ হাঁড়ি চাপে উনুনে, নামে ভোরে।'
64321881

আতিকুর জানান, হায়দরাবাদি হালিমে ডাল আর গোস্ত মিলেমিশে তৈরি হয় মোলায়েম ক্কাথ। আফগানি হালিমের বাটিতে মেলে কিমার খুদে বল। ইরানি হালিমে ভাসে মাংসের ছোট চাঙড়। শাহি হালিমে আবার হাড়-মজ্জা-মাংস গলে অনবদ্য স্বাদ সৃষ্টি হয়। এছাড়া হালিম বিশেষে মশলার আলাদা আলাদা অনুপান তো আছেই।

হালিমের সঙ্গে কী খাবেন? দরদরে হালিমের উপর স্রেফ ধনেপাতা পুদিনাপাতা আর বেরেস্তার কুচি ছড়িয়ে আধখানা পাতিলেবুর রস চিপে খাওয়াই দস্তুর। তবে কেউ কেউ শুধু হালিমে সন্তুষ্ট নন। তাঁদের জন্য রয়েছে তুলতুলে তন্দুরি রোটি বা মুচমুচে লচ্ছাদার পরাঠা। তবে যাঁরা বাড়ি বসে স্বাদ-সাধনায় আগ্রহী, মল্লিকবাজার থেকে একটু এগিয়ে রিপন স্ট্রিট অঞ্চলে খোঁজ করলে পেয়ে যেতেই পারেন মিঠে স্বাদের নরম-সরম শিরমল। পেটের জোর থাকলে তাকেই করতে পারেন সিরাজের যে কোনও হালিমের যুত্‍সই দোসর।

খেতে ভালো লাগার থেকে খেতে জানাটা জরুরি

$
0
0

জয়মাল্য বন্দোপাধ্যায়


পোস্ত তো বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। আমারও বেশ প্রিয় খাবার। আলু পোস্ত আমার ফেভারিট। তবে একটু শুকনো শুকনো আলু পোস্ত ভালো লাগে আমার। মানে পোস্ত বাদামি করে ভাজা হবে এবং পদটি বেশ শুকনো গোছের হবে। টেক্সচার আর ফ্লেভারের যে বিভিন্ন লেয়ার আর গন্ধ থাকে তা বুঝতে পারা জরুরি। থাকে তাছাড়া গরম ভাতের সঙ্গে পোস্তর বড়া খেতেও বেশ লাগে। আসলে পোস্ত ব্যাপারটাই দারুন। পোস্ত বাটা, সর্ষে তেল, পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে গরম ভাত মেখে খেতেও ভালো লাগে। আবার জঙ্গিপুরের রসকদম্বও ভালো লাগে। কার রান্না করা পোস্ত বেশি ভালো লাগে জিজ্ঞাসা করলে অবশ্যই বলব মায়ের হাতের। তবে এখন তো আর মা নেই। মায়ের রান্না সকলের ভালো লাগে। এই ফিলিংসটা বোধ হয় ইউনিভার্সাল।

মাসাইমারার জঙ্গলে কোনও মাসাইকে জিজ্ঞাসা করলে সেও তার মায়ের হাতের রান্নাকেই ভালো বলবে। আমার এক দিদা ছিলেন তার হাতের পোস্তও আমার বেশ ভালো লাগত। তবে এখন এনারা কেউই নেই। এখন কিছু শেফকে আমি আইডিওলাইজ করি। তাদের গুরু মানতে ইচ্ছা করে। তাদের সবার হাতের রান্না তো খাইনি। তবে কিছু জনের হাতে রান্না করা খাবার খেতে ভালো লাগে। এখন সেই অর্থে খুব যে খাওয়ার সুযোগ হয় তা নয়। ভেরি অনেস্টলি নতুন খুব একটা কিছু পাই না। আর যেগুলো নতুন যেটুকু যা দেখতে পাই আজকাল, সেখানে মনে হয় পড়াশোনাটা খুব কম। এনাফ রিসার্চ হয়নি। খুব অ্যামেচারিশ ভাবে করা হচ্ছে নতুন কিছু। হ্যাঁ, আমি নতুন কিছু করার কথা অবশ্যই ভাবছি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া, নানারকম রিভিউ প্ল্যাটফর্মে মানুষ মনে করেন তারা অনেকটা বোঝেন। সেটা কিন্তু নয়। যখন ডাক্তার রোগীকে দেখেন তিনি তো একটা নির্দিষ্ট ভাবে দেখেন।

ঠিক তেমনই আমি তো একজন শেফের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি। আর যে খায় সে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখে। এবার সে একটা কমেন্ট করেন এবং সেই কমেন্টে আরও কিছু জন কথাবার্তা বলেন। এই কমেন্ট করার আগে অনেকটা বোঝার ব্যাপার আছে। খেতে ভালো লাগার থেকে খেতে জানাটা বেশি জরুরি। যেমন ধরুন ৯০ শতাংশ মানুষ চাইনিজ কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে যখন চিকেন চিজ কর্ন স্যুপ অর্ডার করেন তখন তাঁরা সামনে রাখা সস ভিনিগারের বোতল নিয়ে তৈরি থাকেন। স্যুপ এলে সেইসব সহযোগে খাবেন বলে। প্লেইন স্যুপটা একবারও চেখে দেখেন না তারা। কিচেনে যে লোকটা এটা বানিয়েছে তাকে একটু সন্মান দিয়ে একটা চুমুক দিলে কি কোনও ক্ষতি হয়? বেশিরভাগ মানুষ সেটাও ভাবেনই না। বাঙালি খাবার নিয়ে তো এত গবেষনা হচ্ছে। কিন্তু কোনও মেনুতে কি খুব বেশি হেরফের আছে? ইনোভেশন ইজ গ্রেট। আমি কিন্তু কলকাতার মানুষকে ইনোভেট করতে শিখিয়েছি। মিষ্টির ক্ষেত্রেও কিন্তু অরেঞ্জ ক্রাশ, স্ট্রবেরি ক্রাশ আর ছানা ঘেটে দিয়ে মিষ্টি হচ্ছে কিন্তু পোস্ত নিয়ে বেশি মিষ্টি হচ্ছে না। বাংলার এই উপকরণটি ভালোভাবে ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে বৈকি। মানুষ যতটা অন্যান্য জিনিস দেখতে পাচ্ছে ততটা পোস্ত দেখতেই পাচ্ছে না। আমি নিশ্চয়ই এটা নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা করছি। তার ঝলক কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন। এখন বলব না। সারপ্রাইজ থাক।


পোস্তর বড়া

উপকরন- ১০০ গ্রাম পোস্ত, ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, ৩-৪টে কাঁচা লঙ্কা, নুন (স্বাদ অনুযায়ী), ৫ টেবিল চামচ সর্ষে তেল (ছাঁকা তেলে ভাজার জন্য)।

পদ্ধতি- প্রথমে পোস্ত ধুয়ে নিয়ে সেটি ৩০ মিনিট মত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে ভিজিয়ে রাখা পোস্ত এবং কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। পেস্টটি একেবারে মিহি হবে। তবে বাটার সময় আলাদা করে জল দিতে যাবেন না। পোস্ত-র মিশ্রণটিকে কিন্তু ঘন হতে হবে। এবার একটি পাত্রে নুন, চালের গুঁড়ো এবং পোস্ত বাটা ঢেলে চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিন। অন্য দিকে কড়াইতে তেল দিয়ে তা গরম করে নিন। এবার আঁচ কমিয়ে মিশ্রন থেকে কিছুটা স্পুন স্কুপে নিয়ে তেলে ছাড়ুন। আকার কিন্তু বড়ার মত হবে। বাদামি এবং ক্রিস্পি করে দুই সাইড ভেজে নিন। সবকটা বড়া এই উপায়ে ভাজতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম পোস্তর বড়া।

শুধু মন ভরে না ভরে পেট, রান্নায় সেরা স্প্যানিশ ওমলেট

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রান্না এখন অনেক আধুনিক হয়েছে সে আর বই এর মলাটের মধ্যে আবদ্ধ নেই। সময়ের সঙ্গে খাতায় লেখা রেসিপিগুলো জায়গা পেয়েছে রেস্তোরাঁ-সহ হোটেলে। শুধুমাত্র তাই নয় বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিযোগীতা। শনিবার কলকাতায় দ্য ভোজ কোম্পানি, হ্যাফল ও মানচিং মঙ্কসের উদ্যোগে আয়োজিত হল অভিনব প্রতিযোগিতা।

64351314

খুন্তির কসরতে ফাইনালে বাজিমাত করলেন ৬ জন রাঁধুনী। বিচারক হিসাবে ছিলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। রন্ধন শিল্পী পাঞ্চালী দত্ত ও আফরোজা নাজনীন সুমি, এবিপি আনন্দের শ্রেয়সী চক্রবর্তী, এসআরইআইের প্রধান ধ্রুব ভাল্লা, ফ্যাশন ডিজাইনার প্রণয় বৈদ্য, নেওটিয়া হসপিটালিটির শেফ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় ও শেফ সন্দীপ যাদব।

64351304


প্রতিযোগিতায় টেবিলে একই সঙ্গে চমকে দিল স্যানিশ ওমলেট, পাস্তা, চিলি প্রনের মতো ডিশ। তার সঙ্গে ফিউজন রান্নার এক বাহারি মেলবন্ধনে ফাইনাল জমে গিয়েছিল। বিচারকরা রীতিমতো ধন্দে পড়ে যান। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ অবস্থা! পাত আলো করল স্প্যানিশ ওমলেট, সিরাশা পাস্তা উইথ কোকোনাট মিল্ক। মুগ্ধ করল থাই চিলি প্রন ইউথ পাস্তার মতো রান্না। যতই লাঠালাঠিই হোক না কেন, তাতে আখেরে লাভ হয় ভোজনরসিকদেরই।

64341469

প্রতিযোগিতার শেষে সহমত হলেন শীর্ষ বিচারকেরা। প্রথম হলেন কোরিনা পোপা। স্প্যানিশ ওমলেট তৈরি করে বিচারকদের রসনা তৃপ্তি করলেন। দ্বিতীয় হলেন শ্রীময়ী ভট্টাচার্য। সিরাশা পাস্তা উইথ কোকোনাট মিল্কে মন জয় করলেন সবার। তৃতীয় হলেন গৃহবধূ জয়িতা পাথার। আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে গিফ্টের বদলে রান্না করে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন তিনি। পাস্তা উইথ চিলি প্রন রান্না করে মুগ্ধ করলেন বিচারকদের।

সাবেক বাড়ির সাবেকি খাবার

$
0
0

কলকাতায় বা আশপাশেই রয়েছে নানা হেরিটেজ রেস্তোরাঁ। কেমন, কোথায় সে সব জায়গা? তারই সন্ধানে নামলেন দেবলীনা ঘোষ

ঝাঁ চকচকে শহুরে রেস্তোরায় খাওয়া তো প্রায়ই হয়। এবার শহরের মধ্যের বা শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে যে হেরিটেজ রেস্তোরাঁ গুলো রয়েছে সেগুলোর খাবার চেখে দেখুন।

সোমবারের দুপুর। প্রায় গলদঘর্ম অবস্থা। রাস্তায় যানজটও প্রচুর। আর তার মধ্যেই শহরের হেরিটেজ রেস্তোরাঁর খোঁজ। যেখানে পাওয়া যাবে খাস কলকাতার খানা-পিনা। আর ডেকরেশনেও থাকবে কলকাতার ছোঁয়া। শহরে এরকম রেস্তোরাঁর অভাব নেই। তাহলে বেছে নেওয়া হবে কীসের ভিত্তিতে? আমরা বেছে নিলাম হয়একেবারে সদ্য উদঘাটিত। নয়তো শহর থেকে একটু দূরে। যেখানে থাকবে প্রকৃতি, সাবেকিয়ানা আর আরাম একেবারে মাখামাখি করে।

প্রথম গন্তব্য 'সোনার তরী'। সিটি সেন্টার ওয়ানে মাত্র ক'য়েকিদন আগেই খুলেছে এই রেস্তোরাঁ। ইট-কাঠ-কংক্রিট পেরিয়ে যেন হঠাৎ প্রবেশ কোনও জমিদারী বৈঠকখানায়। বসার জায়গার পিছনে পিতলের, সিলিং ছোঁয়া কলা গাছ। পাশেই খাঁচায় রাখা বেল ফুলের মালা প্রথমেই আবহ তৈরি করে দেয়। ভিতরে ঢুকে প্রথমেই চোখ যাবে সিলিং-এ। চাঁদোয়ার ভিতরে সার সার আলো সাঁটা। রয়েছে প্রাইভেট ডাইনিং এরিয়া। সেখানকার সাজও মন টানবে। তবে সব থেকে বোশি আকর্ষণ করবে বারান্দা। একেবারে ছোটবেলার, হারিয়ে যাওয়া আমেজ ফিরিয়ে দেবে। রোদে শুকোতে দেওয়া সার বাঁধা আচারের বয়াম মনে করিয়ে দেবে ঠাকুমা-দিদিমার হাতের পরশ। শিল্পী নারায়ণ চন্দ্র সিনহা সাজিয়েছেন এই রেস্তোরাঁ। তিনি জানাচ্ছেন, 'আমি কলকাতার নিজস্ব চরিত্রটা তুলে ধরতে চেয়েছি। তাই পুরনো আর নতুনকে মেলানোর চেষ্টা করেছি। রেস্তোরাঁর অনেকটা দেওয়াল বালুচরী দিয়ে মোড়া। রয়েছে দাবার ঘুটির মতো মেঝে, দেওয়ালে টগর ফুলের আঁকিবুকি। এগুলোই বাঙালিয়ানা এনেছে।'

তবে শুধু দেখতে ভালো হলে হবে না। খাবারও পাওয়া যেতে হবে অনবদ্য। শেফ ভাস্কর দাশগুপ্ত সাজের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তৈরি করেছেন রেস্তোরাঁর মেনু। পাবেন ছোলা দিয়ে কচুর লতি, বেল ফুলের রসগোল্লা, ডাবের সন্দেশ, আম শোল সহ আরও নানা হারিয়ে যাওয়া খাবার। পাবেন বিলিম্বি, আমলকি, আমআদা, জলপাই, কাঁচা আমের আচার। এছাড়া চালতা ভাতে, মুগ ডালের পাঁপড়, মসলা মুরগি সব নানা জিভে জল আনা পদ। আ লা কার্টে খেতে হলে দু'জনের জন্য খরচ পড়বে ১৩০০ টাকার মতো। থালির খরচ ৮৫০ টাকার মতো।

শ্যামবাজারের রাধাকান্ত জিউ স্ট্রিট। চারদিকে পুরনো রোয়াক দেওয়া বাড়ি। তার মধ্যেই 'ক্যালকাটা বাংলো'। আভিজাত পুরনো কলকাতার আদর্শ প্রতিভু। দরজার বাইরে কাঠের টাইপোতে লেখা নাম দেখেই বুঝতে পারবেন অভিজ্ঞতা ভালোই হতে চলেছে। এখানে মিলবে একেবারে বিদেশী কায়দায় বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্ট-এর সুবিধে। ঢুকেই রিসেপশন। পাশে ছোট্ট স্যুভেনির রুম। যেখান থেকে টুকটাক কেনাকাটা সারতে পারেন। এরপর আড্ডাখানা পেরিয়ে পুরনো সরু সিঁড়ি বেয়ে পাড়ি দিতে হবে মুচি পাড়া, দরজি পাড়া, বই পাড়া, যাত্রা পড়ায়। এগুলোই এখানকার ঘরের নাম। আর নাম অনুযায়ীই ঘরের সাজও। দরজি পাড়ার দেওয়ালে কাঁচি ফ্রেম করা থাকলে মুচি পাড়ার দেওয়ালে চামড়া ফ্রেম করা রয়েছে। বই পাড়ার পুরো মেঝেই পুরনো ফেলে যাওয়া উৎসর্গীকৃত শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরি। সাহেব পাড়ায় বাথরুমে রয়েছে বিরাট তামার বাথটব। খোলা ছাদে রয়েছে বসার জায়গা। কিচেনও এখানেই। শহরের ব্যস্ততার মাঝে এক টুকরো আলস্যের মতো ছাদের আরাম কেদারাগুলো। পুরো জায়গাটার ব্র্যান্ডিং করেছেন সায়াম আরিফ। জানাচ্ছেন, 'কলকাতায় থেকেও শহরটাকে একটু অন্যরকম করে চেনার জন্য এই আয়োজন। ইফতিকর এহসান আর ক্রিস চেন, কর্ণধার, শুধুমাত্র সাবেকিয়ানাকে গুরুত্ব দেননি। কলকাতার থিম রাখার পাশাপাশি ক্রিয়েটিভিটিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।' পুরো রেস্টোরেশনের কাজ করেছেন সিনোগ্রাফার স্বরূপ দত্ত। 'কলকাতার পুরনো বাড়িগুলোর কোনও লিস্টিং নেই। চারিদিকে ফ্ল্যাট হচ্ছে। যা পুরনো বাড়ির চরিত্রগুলোর সঙ্গে বেশ বেমানান। আমরা এই প্রজেক্টে দেখাতে চেয়েছি অর্থকরী ভাবেও বাড়িগুলো বাঁচানো সম্ভব। আমরা বাড়ির পুরো চরিত্র বদলাইনি। পুরনো ধাঁচাটাকে রেখেই রেস্টোরেশন করেছি। তাই চুন-সুরকি থেকে পুরনো গ্রিল-সব রয়েছে এখানে। ঘরের নামগুলোও রাখা হয়েছে সেই ভাবেই। অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে পুরো কাজটার জন্য'-জানাচ্ছেন স্বরূপ।

একদিন এখানে থাকার খরচ ৫০০০ টাকার মতো। খাবার সমেত। তবে জিএসটি আলাদা। থাকতে না চাইলে ব্রেকফাস্ট করতেও আসতে পারেন। অন্যান্য 'মিল' খুব শিগগির চালু হবে। ব্রেকফাস্টে মিলবে বাঙালি লুচি-তরকারি আর ইংলিশ ব্রেকফাস্ট।

শ্যামবাজার থেকে সোজা বাওয়ালি রাজবাড়ি। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো, অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা এখানে পাবেন না। নিজস্ব গাড়ি বা ভাড়া গাড়ি লাগবে গন্তব্যে পৌঁছতে। তবে গাড়ির ব্যবস্থা রাজবাড়ির তরফ থেকেও পেতে পারেন। তার জন্য আগে থেকে বুকিং করতে হবে। মাঝখানে খোলা জায়গা, তার তার চারিদিক ঘিরে রাজবাড়ির ঘর। হেরিটেজ লোকেশন হিসেবে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। যখন পৌঁছনো গেল, তখন একেবারে ফিল্মি কায়দায় ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে তখন সেখানে চলছে প্রিওয়েডিং ফোটো সেশন চলছে।

মাত্র কয়েকমাস আগেই এই রাজবাড়ি মানুষদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রেসিডেন্ট ডাইরেক্টর মৃণালীনি সহেলী মজুমদার জানাচ্ছেন, 'এখানে অনেক ডে প্যাকেজও রয়েছে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনং টি-অনুযায়ী প্যাকেজ পাওয়া যায়। আমরা মিক্সড ক্রাউড পাই এখানে।' একদিনের জন্য মোটামুটি খরচ প্রায় ৯০০০ টাকার মতো। রাজবাড়ির পিছনের অংশে রয়েছ পুল, স্পা আর কটেজ। পুকুর, প্রকৃতি আর আড্ডাখানার এক সুন্দর মিশেল। ঠাকুর দালানে মাঝেমধ্যেই নানা অনুষ্ঠান হয়। সেগুলোও উপভোগ করতে পারেন এখানে এসে। সুক্তো থেকে কচু চিংড়ি একেবারে বাঙালি খাবার মিলবে এখানের রেস্তোরাঁয়। সঙ্গে নানা ধরনের শরবত, স্ন্যাকস। সকাল গড়িয়ে কখন রাত নেমে যাবে বুঝতেই পারবেন না।

সন্ধান যখন পেয়েই গিয়েছেন, তাহলে সামনের উইকেন্ডে থাকুক বাঙালিয়ানা আর সাবেকিয়ানার মিশেল। কারণ সব কিছু তো রয়েছে হাতের নাগালেই।


Dhakai Leg Roast Recipe: জিভে দয়া করো? ক্লিক করো এই পোস্ট...ঢাকা থেকে আমদানি খাসা লেগ রোস্ট!

$
0
0

ছুটির দিনে ভালোমন্দ খেতে মন চাইতেই পারে। তার জন্য রেস্তোরাঁয় না দৌড়ে ঘরেই সহজে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু খাবার। সেরকমই একটি পদ ঢাকাই লেগ রোস্ট। ঘরে মাইক্রোওয়েভ না থাকলেও খুব সহজেই তৈরি করা সম্ভব এই মোগলাই পদটি। কি ভাবে বানাবেন? দেখে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ
খাসির মাংস (পায়ের কাছের মাংস, ১ কেজি), রসুন (২৫ গ্রাম), লঙ্কা গুঁড়ো (২০ গ্রাম), নুন, আদাবাটা (২০ গ্রাম), পেঁপে (৫০ গ্রাম), কাঁচালঙ্কা বাটা (পরিমাণমতো), জায়ফল, জয়িত্রি, সাদা গোলমরিচ(পরিমাণমতো) , তেল (৪০০ গ্রাম), ভাজা পেঁয়াজ (৪০০ গ্রাম), পেঁয়াজ সেদ্ধ (২০০ গ্রাম), বাদাম কুঁচি (অল্প)।

পদ্ধতি
প্রথমে একটা পাত্রে খাসির মাংস নিন। এবার ওর মধ্যে ভাজা পেঁয়াজ ও বাদাম কুঁচি বাদে বাকি সমস্ত উপকরণ দিয়ে দিন। আভেনের আঁচটা খুবই সামান্য রাখুন। মাঝে একবার পাত্রটির ঢাকনা খুলে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিন।

এইভাবে ঢাকা অবস্থায় মাংসটা এক ঘণ্টা থাকবে। ১ ঘণ্টা বাদে ডেকচির ঢাকনা খুলে মাংসের টুকরোগুলো তুলে মশলাটা ভাল করে কষান। এবার একটা প্লেটে খাসির মাংসগুলো দিয়ে তার ওপর কষানো মশলা দিয়ে দিন। সবশেষে ভাজা পেঁয়াজ আর বাদাম কুঁচি ছড়িয়ে দিলেই রেডি ঢাকাই লেগ রোস্ট।

আজকের পাতে প্রন ওয়ান্টেড মোস্ট... ঘিয়ে ভেজা মশলায় যদি করো রোস্ট!

$
0
0

মাছ, না পোকা! বিতর্ক সবসময়ই। এরপরেও ছোট-বড় সবার প্রিয় কিন্তু চিংড়ি। খাওয়ার সময় চিংড়ির যে কোনো একটি পদ হলেই খুশি বাড়ির সবাই। তাই বাড়ির সব বয়সি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এ বারের আয়োজন প্রণ ঘি রোস্ট। দেখে নিন আর আজই বাড়িতে ট্রাই করুন এই রেসিপি।

প্রন ঘি রোস্ট

উপকরণ
চিংড়ি মাছ (১ কাপ), পেঁয়াজ (আধ কাপ), হলুদ গুঁড়া (আধা কাপ), লঙ্কা গুঁড়ো (১ চা চামচ), ধনে গুঁড়ো (১ চা চামচ), জিরে গুঁড়ো (১ চা চামচ) সাদা গোলমরিচ (আধ চা চামচ), গরম মশলা গুঁড়ো (আধা চা চামচ), কাঁচা লঙ্কা কুঁচি(১ টেবিল চামচ), পেঁয়াজপাতা কুঁচি(১ টেবিল চামচ), ঘি (পরিমাণমত), ধনেপাতা কুঁচি(১ টেবিল চামচ), আদা কুঁচি(১ টেবিল চামচ), নুন(স্বাদমত)

64476740

পদ্ধতি
প্রথমে কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে হলুদ, লঙ্কা, ধনে, জিরে, সাদা গোলমরিচ, নুন, গরম মশলা গুঁড়ো ও অল্প জল দিয়ে নেড়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।

মশলা কষানো হলে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাল করে আবারো কষিয়ে নিন। এবার ধনেপাতা ও জল দিয়ে একটু নেড়ে ঢেকে দিন। মাখা মাখা হয়ে এলে ঢাকনা উঠিয়ে ওর মধ্যে কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, আদা কুঁচি, ধনেপাতা, পেঁয়াজপাতা ও একটু ঘি উপরে ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন প্রণ ঘি রোস্ট।

64476742
রেসিপি সৌজন্য: শেফ আফরোজা নাজনীন সুমি

এক ডজন বিরিয়ানির স্বাদে নবাবি স্বপ্ন! আহ... আউধ!

$
0
0

'দিওয়ানা বনা না হ্যায় তো, দিওয়ানা বনা দে...।' আধো আলো-অন্ধকারে বাজছে বেগম আখতার। কাঠের দরজা ঠেলে ঢুকতেই মোগলাই খানা, জাফরানি খুশবুর ম-ম করছে গোট ঘরে। ঝাড় লণ্ঠনগুলোর টুংটাং শব্দের সঙ্গে মিশে গিয়েছে প্লেট-চামচের শব্দ। নবাবি মেজাজ কোনায় কোনায়। আউধ ১৫৯০-তে আপনাকে স্বাগত।

শহরের মধ্যে এই এক টুকরো আওয়াধে শুরু হচ্ছে 'দ্য গ্রেট আওয়াধি বিরিয়ানি ফেস্টিভ্যাল'। ৮ জুন অর্থাত্ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এই ফেস্টিভ্যাল। বিরিয়ানি যাঁদের প্রিয়, তাঁরা এই ফেস্টিভ্যালে পাবেন ১২ ধরনের বিরিয়ানির স্বাদ। দেশপ্রিয় পার্ক, সার্দান অ্যাভিনিউ ও সল্টলেক-- কলকাতায় আউধ ১৫৯০-এর তিনটি আউটলেটেই চলছে এই ফেস্টিভ্যাল।
64493449

থাকছে, সুগন্ধী মুর্গ বিরিয়ানি, মুর্গ ইয়াখনি বিরিয়ানি, শিকার বাতায়ের পুরদা বিরিয়ানি (কোয়েল পাখির মাংসের বিরিয়ানি), শাহি হনসা বিরিয়ানি, গোস্ত ইয়াখনি বিরিয়ানি, কিমা বিরিয়ানি, কিমা খিচড়ি, গোমতি সুগন্ধী মাহি বিরিয়ানি, মাহি কোফতা বিরিয়ানি, ঝিংগা মোতি বিরিয়ানি, সুব্জ সুগন্ধী কোফ্তা বিরিয়ানি ও সুব্জ ইয়াখনি বিরিয়ানি। শেষ পাতে 'মু মিঠা'-র জন্য ফিরনি।

'দ্য গ্রেট আওয়াধি বিরিয়ানি ফেস্টিভ্যাল'-এ হাজির ছিলেন অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষ। 'আউধ ১৫৯০'-এর অন্যতম কর্ণধার দেবাদিত্য চৌধুরীর কথায়, 'এই ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্যই হল, ঐতিহাসিক আওয়াধের স্বাদকে উদযাপন করা। আমরা প্রথম থেকেই বিরিয়ানি নিয়ে রিসার্চ করছি। কলকাতাবাসীকে এই ফেস্টিভ্যাল আমাদের তরফে উপহার।'

দাম কত? দু'জনের 'পেটপুজো'য় খরচ পড়বে প্রায় ৮০০ টাকা ও সঙ্গে কর।

ব্রেডগুঁড়ো মাখা ফিশ কাবাবে... সন্ধানে ধন্দায় নবাবে...!

$
0
0

কাবাব হল বাটা মাংস এবং মশলার মিশ্রণকে একসঙ্গে মিশিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় নিয়ে রান্না করা বিশেষ এক বিশেষ পদ্ধতি হল কাবাব। এটি এক প্রকার অভিজাত খাবার।

আপনি যা ভাবছেন, কাবাব মানেই তন্দুর আর ঝামেলা,সে কিন্তু একদম নয়। এখন কাবাব বানানো খুবই সহজ। তাই আপনাদের জন্য রইল ব্রেডক্রাম্বড ফিশ কাবাব।

ব্রেডক্রাম্বড ফিশ কাবাব

উপকরণ

মাছের ফিলে: ১ টা, আদা বাটা : আধা চা চামচ, রসুন বাটা: আধ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ, লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ, চিলি সস: ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম: ১ কাপ, ময়দা: ১ কাপ, কর্ণফ্লাওয়ার: আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়ো: আধা চা চামচ, চিলি ফ্লেক্স: আধ চা চামচ, ডিম: ১ টা, মাখন: ১ টেবিল চামচ, তেল: পরিমাণমত, নুন: স্বাদমত, মাষ্টার্ড পেষ্ট সামান্য।


পদ্ধতি
প্রথমে ময়দাতে কর্ণফ্লাওয়ার, গোলমরিচ গুঁড়ো, চিলি ফ্লেক্স দিয়ে মেখে রেখে দিন। এবার মাছের ফিলেতে মাষ্টার্ড পেষ্ট, আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, লেবুর রস, চিলি সস, দিয়ে ভাল করে মেখে রেখে দিন।

এবার মাখানো ময়দার মিশ্রণটির সঙ্গে মাছটি প্রথমে ভালো করে কোড করে নিন। এর পর ফেটানো ডিমের মধ্যে মাছের ফিলে ডুবিয়ে নিয়ে তার উপর ব্রেডক্রাম ছড়িয়ে নিন।

এবার কড়াইতে তেল গরম করে ব্রেডক্রামে মেখে রাখা মাছটি ভাজতে থাকুন। মাছটি সোনালী রং হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুণ মজাদার ব্রেডক্রাম্বড ফিশ কাবাব।

64511392

রেসিপি সৌজন্য:
শেফ আফরোজা নাজনীন সুমি

ফুডপাথ ডিরেক্টরি

$
0
0

দেবলীনা ঘোষ

সন্ধের জাকারিয়া স্ট্রিট। এই রামজানের মরশুমে এটাকে ফুড স্ট্রিটও বলতে পারেন। কারণটা একবার ঢুঁ মারলেই বুঝতে পারবেন। মোগলাই, আফগানি খানা যদি আপনার প্রিয় হয়, তাহলে এই ফুড স্ট্রিটে কিন্তু অবশ্যই আসতে হবে। মশলা মাখানো মুরগি, সারি সারি মিসি রোটি দেখলেই মন ভরে যাবে। খাবার দেখেও যে এমন শান্তি পাওয়া যায়, এখানে না এলে বোঝাই যেত না। রাস্তা একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে ড্রাই ফ্রুটস। খেজুর, আখরোট, আমন্ড, মাখনা, কিসমিস, কাজু, নারকেল কুচি দিয়ে ছোট-ছোট প্যাকেট করা। দাম ২০ টাকা। খোলা নিলে দাম ওজন অনুযায়ী। রাস্তা ধরে একটু এগোলে শুকনো নারকেল আর খেজুর পাবেন। এক প্লেটের দাম ২০ টাকা। ফ্রটু স্যালাড, শরবত, লস্যিও রেয়েছে। দাম ওই ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

সন্ধে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমজমাট হতে থাকে এই রাস্তা। আলোর রোশনাই বাড়তে থাকে। আর বাড়তে থাকে সুস্বাদু খাবারের গন্ধও। সেই গন্ধ ধরে একটু এগোলেই দেখতে পাবেন তৈরি হচ্ছে মিসি রোটি। কেওড়া জল আর গোলাপ জল মিলেমিশে একাকার। আর তার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে তুলতুলে, বাদামী রুটি। এই রুটিরও আবার ভ্যারিয়েশন রেয়েছে। কোনওটা খুব মিষ্টি, কোনওটা হাল্কা মিষ্টি আবার কোনওটায় কোনও মিষ্টি নেই। পাবেন ছোট ছোট বাখারখানও। কোনওটার উপরে চিনির প্রলেপ আবার কোনওটায় তিল বা কালো জিরে ছড়ানো। আরও একটু সুস্বাদু করতে চাইলে সদ্য তৈরি এই রুটির উপর একটু পেঠা, কিসমিস, কাজুও ছড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। মাপ অনুযায়ী দামের কোনও হেরফের নেই। যাই নিন না কেন দাম ঘোরাফেরা করবে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার মধ্যে।

64519143

মাছ ভালোবাসেন? পছন্দসই নানা রকমের ফ্রাই পাবেন এখানে। কোথাও দেখবেন ম্যারিনেট করা বিশাল কাতলা শিকে ঝুলছে। কোথাও আবার শিকে চিংড়ি গাঁথা। ভেজে খেতে পারেন। তন্দুর বা গ্রিল করে খাওয়ার সুযোগ আছে। তবে মাথায় রাখবেন, কাতলা ফ্রাইয়ের সাইজ প্রায় আধ হাত। একটুও অত্যুক্তি নয়। বিশ্বাস না হলে সরেজমিনে দেখে নিতে পারেন। এক পিস মাছ ভাজার দাম পড়বে ৫০ টাকার মতো। এছাড়া বাগদা চিংড়ির কাবাব, চিংড়ি রোস্ট, ফিশ কাবাব, তন্দুর ভেটকি, তন্দুর পমফ্রেট পাবেন। প্লেট হিসেবে নয়, কিনতে হবে কেজি হিসেবে। দাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে।

মিষ্টি পছন্দ হলে এখান থেকে অবশ্যই কিনে নিন লাচ্ছা। গোলাপ জল আর ঘিয়ের গন্ধে জিভে জল এসে যাবে। কোনওটা চিনির রসে ডোবানো, কোনওটা ঘিয়ে ভেজে শুকনো করা আবার কোনওটা শুধুই ঘিয়ে চোবানো। গরম দুধে এই লাচ্ছা আর ফল দিয়ে খেতে দারুণ লাগবে। না হলে সিমাইয়ের পায়েস বানিয়ে নিতে পারেন। দাম শুরু মোটামুটি ১০০ টাকা থেকে। বিস্কুট কিনতে পারেন নানা রকমের। নোনতা, মিষ্টি দু'রকমই পাবেন। নিউ মার্কেটের দোকান থেকে যে ধরনের বেকারির বিস্কুট কেনেন, সব পেয়ে যাবেন এখানে। একশো গ্রামের দাম শুরু ৩০ টাকা থেকে। একটু হাল্কা কিছু খেতে চাইলে পাবেন দই বড়াও। দাম প্লেট প্রতি ২০ টাকা।

64519150

জাকারিয়া স্ট্রিটে গিয়ে কাবাব খাবেন না, তাও কী হয়! এখানকার বিখ্যাত মটন সুতি কাবাব খেতে গেলে একটু গলির ভিতর ঢুকতে হবে। কলুটোলা স্ট্রিট আর জাকারিয়া স্ট্রিটের মধ্যে এই দোকান। দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। খাবারটা লা-জবাব। শিকে করে গেঁথে রাখা আছে সুতোয় বাঁধা কাবাব। তৈরি হয়ে গেলে সুতো শুদ্ধুই মুখে পুরতে হবে। এক একবার সুতো ধরে টান মারবেন, আর তুলতুলে কাবাব আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে মুখে। দাম মাত্র ২০ টাকা। এছাড়া মটনের খিরি কাবাব, বোটি কাবাবও পাবেন। দাম একই। থরে থরে সাজানো চিকেন কাবাবও চোখে পড়বে। কোনও ম্যারিনেট করে রাখা হয়েছে আবার কোনওটা সদ্য ঝলসানো হচ্ছে। লেবু, পুদিনা আর মাংসের আধ পোড়া গন্ধ আপনাকে ডায়েট ভুলতে বাধ্য করবে। এক কিলো মুরগি ফ্রাইয়ের দাম পড়বে ৩৬০ টাকার মতো। আফগানি চিকেন কাবাবের দাম ৫২০ টাকা। চিকেন চাংগেজি পাবেন ৪৮০ টাকায় এক কিলো। চিকেন মাহি আকবরি কাবাব পাবেন কেজি প্রতি ৭০০ টাকায়। শুধু কাবাব খেতে না চাইলে সঙ্গে রুমালি রোটি, তন্দুরি রোটি করতে পারেন। দাম পড়বে ৫-১০ টাকার মধ্যে। বিরিয়ানিও পাবেন। মাত্র ৬০ টাকায় প্রতি প্লেট। হালিমের দাম প্লেট প্রতি ৬০-৭০ টাকা।

তালিকা দেখে বুঝতেই পারছেন এক বার জাকারিয়া স্ট্রিটে ঢুঁ না মারলে আপনার খাবার প্রীতিটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। রেস্তোরাঁয় তো সব সময়ই খান। এবার এখানকার অথেনটিক মোগলাই আর আফগানি খাবার চেখে দেখুন একবার।

চিজ কেক বানানো কিন্তু এমন কিছুই শক্ত নয়

$
0
0

বিকাশ কুমার

চিজকেক অবশ্যই আমার খুব পছন্দের খাবার। আসলে এই খাবারটি সকলের পছন্দ হওয়ার মত। চিজ কেক দুই ধরনের হতে পারে। এক, বেকড চিজ কেক এবং দুই, চিলড চিজ কেক। প্রথম ধরনের চিজ কেক-টি আসলে ক্রিম চিজ যার সঙ্গে চিনি, স্টার্চ, ক্রিম ইত্যাদি মেশানো হয় এবং সেটিকে বেক করা হয়। আরেক ধরনের চিজ কেক অর্থাৎ চিলড চিজ কেকটি অনেকটা মুস-র মতো খেতে হয়। চিজ কেক-র অনেকরকম ফ্লেভার হয়। স্ট্রবেরি, ক্যারামেল, আম, নারকেল এবং আরও অনেক রকমের ফ্লেভারের চিজ কেক বানাই আমি। তবে ফ্লেভারটা মরশুমের ওপর নির্ভর করে। যেমন গরম কালে আম-র ফ্লেভার খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও মিষ্টি দই চিজ কেক বানাই আমি। কেক ব্যাটারে মিষ্টি দই মিশিয়ে সেটাকে বেক করা হয়। কলকাতায় এই মিষ্টি দই চিজ কেক একমাত্র আমরাই বানাই। ফলে ভীষন জনপ্রিয় এই চিজ কেক।

ব্যক্তিগতভাবে আমার প্লেইন ভ্যানিলা চিজ কেক খুব ভালো লাগে। একে নিউ ইয়র্ক চিজ কেক বলা হয়। প্রথম বার এই চিজ কেক আমি নিউ ইয়র্ক শহরেই খেয়েছিলাম। এই চিজ কেক-টি খুব ফ্লাফি এবং হালকা। তাছাড়া খুব একটা বেশি মিষ্টি হয় না নিউ ইয়র্ক চিজ কেক। ফলে আমার এই চিজ কেক-র স্বাদ দারুন লাগে। আসলে চিজ কেক একটি আমেরিকান ডেসার্ট। ইউএস-এ এটি খুব জনপ্রিয়। আমি অনেক জায়গায় বিভিন্ন ভাবে চিজ কেক বানাতে দেখেছি এবং শিখেছি। তবে মূলত একজন আমেরিকান শেফ-র কাছ থেকেই চিজ কেক বানানো শিখেছিলাম। উনি খুব ভালো চিজ কেক বানাতেন। এই ডেসার্ট বানানো খুব একটা শক্ত নয়। তবে খুব সতর্কভাবে রান্না করতে হয়। তাছাড়া বেকিং টেম্পারেচার এবং রেসিপি যেন সঠিক হয় সেদিকেও নজর রাখতে হয়। বাড়িতে মূলত আমিই চিজ কেক বানাই। তবে এখন আমার স্ত্রী-ও চিজ কেক বানিয়ে খাওয়ান মাঝেমধ্যে। বেশ ভালোই লাগে।

বেকড ম্যাঙ্গো চিজ কেক

উপকরন- ৩০০ গ্রাম ক্রিম চিজ, ৫০ গ্রাম ভ্যানিলা বিস্কুট, ২০ গ্রাম মাখন, ৯০ গ্রাম ফ্রেশ ক্রিম, ১টি ডিম, ৯০ গ্রাম কাস্টার সুগার, ১০ গ্রাম কর্নফ্লাওয়ার, ১টি লেবুর রস, ১০০ মিলি ম্যাঙ্গো পালপ, ২ মিলি ভ্যানিলা এসেন্স।

পদ্ধতি- প্রথমে ভ্যানিলা বিস্কুটকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তার মধ্যে চিনি এবং গলানো মাখন মেশাতে হবে। এবার এই বিস্কুটের মিশ্রন দিয়ে কেক রিং তৈরি করে নিন। এবার একটি বাটিতে ক্রিম চিজ, কর্নফ্লাওয়ার, চিনি মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ডিম, ম্যাঙ্গো পিউরি এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মেশান। এবার একটি মোল্ডে (বিশেষ ধরনের পাত্র) সব উপকরনগুলি ঢেলে দিন। ১৫০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ৪০-৪৫ মিনিট বেক হতে দিন। হয়ে গেলে তা ঠান্ডা হতে দিন। হয়ে গেলে সুন্দর করে কেটে নিন এবং আমের স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে নিন। পরিবেশন করুন।

রেস্তোরাঁ গাইড :) জামাইকে যদি ভয়...রসনায় করো জয়

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক:আম তো বেশকিছুদিন আগেই পেকে গিয়েছে। পাক ধরেছে জামেও। ঝাঁকায় উঁকি মারছে লাল লাল লিচু। কাঁঠালের গন্ধে ম ম করছে পাড়া। ডিমভর্তি ইলিশ এসে গিয়েছে বাজারে। এসব গুছিয়ে বাজার করে আনবেন শ্বশুরমশাই। তারপর রেঁধে বেড়ে আদর করে জামাইকে খাওয়াবেন শাশুড়ি। বুঝতেই পারছেন কেন ধান ভাঙতে শিবের গীত গাওয়া হচ্ছে । ক্যালেন্ডারে উঁকি মারছে জামাইদের বার্ষিক উৎসব। আস্ত কাঁঠাল, আস্ত পাঁঠা খাওয়ার দিন না থাকলেও রেস্তোরাঁতে তো যাবেনই। জামাই বাড়িতে আসা মানেই রান্নাঘরে হুলস্থুল। তবে এখন হাইটেকের যুগে শাশুড়ি-জামাইয়ের সে সময় কোথায়! তিথি মেনে ষষ্ঠীর দিন অথবা ছু়টির দিনে জামাই-শাশুড়ি সদলবলে চলেন রেস্তোরাঁতে। জামাইয়ের পছন্দের স্যুপ থেকে মেয়ের পছন্দের কাস্টার্ড সবই মেলে সেখানে।

সেই ব্যবস্থাই এবারে জামাই ষষ্ঠীতে এনেছে মণি স্কোয়্যারের চ্যাপ্টার টু। ১৮ ও ১৯ জুন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত থাকছে দেদার খানাপিনা সঙ্গে লাইভ মিউজিক। আর মেনুতে কি কি থাকছে জানেন? ক্রিম অফ চিকেন স্যুপ, প্রন অন টোস্ট, ইংলিশ ফিশ ফিংগার, ল্যাম্ব চপস, চিজ কেক, ক্যারামেল কাস্টার্ড, বেকড আলাস্কা ও আরও অনেক কিছু। আর এই ভুরিভোজের দক্ষিনা মাত্র ১০০০ দুজনের জন্য। সঙ্গে কর অতিরিক্ত।
64591876

থালি সাজিয়ে প্রস্তুত বাঙালি রসনার পীঠস্থান ৬ বালিগঞ্জ প্লেস। জামাই আদর স্পেশ্যাল মেনুতে আম পুদিনা শরবত, লুচি, ছোলার ডাল, কুমড়ো ফুল ভাজা, চাপড় ঘন্ট, পালং ছানার কোফতা, মোচার কাটলেট, আমের মেরব্বা, ডাব সন্দেশ এসব তো থাকছেই। আরও থাকছে শেষ পাতে জামাই স্পেশ্যাল এক থালা ফল। আম, লিচু, কাঁঠাল, কালোজাম। উদরপূর্তির দক্ষিনা ১৪২৫। সঙ্গে কর অতিরিক্ত। এছাড়াও থাকছে আমিষ ও নিরামিষ থালি। আমিষ থালি ৮২৫, নিরামিষ ৫০০। উভয় ক্ষেত্রে কর অতিরিক্ত। বালিগঞ্জ, সল্টলেক, নিউটাউন সব আউটলেটেই পাওয়া যাবে।
64591895

মেনু সাজিয়ে প্রস্তুত আরেক বাঙালি রেস্তোরাঁ সপ্তপদী। ভাত, পোলাও, আলুভাজা, বেগুনি, তোপসে ফ্রাই , চিংড়ি, ইলিশ থাকছে সব কিছু। জামাই থালির দক্ষিনা ৮৯৯, স্পেশ্যাল জামাই থালি ১০৯৯। ১৬ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে থাকছে এই পদ।

তালিকা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। মল্লিক বাজারের জিটি রুটও খাঁটি বাঙালি খানায় জামাইদের স্পেশ্যাল মেনু সাজিয়েছে। শুধুমাত্র ১৯ জুন বেলা ১২ টা থেকে রাত ১১.৩০ পাওয়া যাবে এই মেনু। খরচা জনপ্রতি ৭৪৯। কর অতিরিক্ত।
64591911

এয়ারপোর্টের কাছে হলিডে ইন। ১৮ এবং ১৯ জুন এই দুদিনই থাকছে দেদার খাওয়াদাওয়া। দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১১ টা। পকেট থেকে খসাতে হবে মাত্র ১২৫০। কর অতিরিক্ত।

বাবাজীবন আর শাশুড়ি মায়ের জন্য সব তো হল। মানে জামাইষষ্ঠী একরকম তো শাশুড়ি-জামাই স্পেশ্যাল ডে। তাই বলে বাবা খামোখা বাদ থাকবেন কেন ? ১৭ জুন বাবাদের দিন। ফাদার্স ডে। ওদিন চুপি চুপি বাবাকে নিয়ে খেয়ে আসুন আওয়াধ ১৫৯০ -এর স্পেশ্যাল বিরিয়ানি। সুগন্ধী মুর্গ, মুর্গ ইয়াখনি, কিমা খিচুড়ি, সুগন্ধী মাহি, গোস্ত কুন্দন কালিয়ার সুবাসে জমজমাট আওয়াধি মেনু।



স্বাদ-গুণে দিতে পারে সব দেশে পাল্লা...ছোট ডিশ শিখে নাও, মুরগির রসল্লা!

$
0
0

মাংসের মধ্যে মুরগির মাংস সবচেয়ে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্য সম্মত। আমরা সকলেই নিয়মিত মুরগির মাংস খেয়ে থাকি। তবে, মুরগির রসল্লা নামটা শুনে আইটেমটি বেশ রগরগে বলে মনে হচ্ছে, আসলে কিন্তু তা নয়। রান্না করতেও সহজ, খেতেও বেশ, তাই এবার রেঁধে দেখুন রসল্লা!

মুরগির রসল্লা


উপকরণ
মুরগির মাংস (১ কেজি), পেঁয়াজ সেদ্ধ করে বাটা (২টি মাঝারি), আদা রসুন বাটা (২ চামচ)
নুন স্বাদ মতো, হলুদ গুঁড়ো (১ চামচ), কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো (২ চামচ), টক দই (২ চামচ)
গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, ঘি (৪ চামচ), সাদা তেল (২ চামচ, কেওড়া জল (১ চামচ), ধনেপাতা কুঁচি

প্রণালী
একটি পাত্রে মাংস, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মেখে ঘন্টা খানেক ধরে রেখে দিন। এর পর হাঁড়িতে ঘি আর সাদা তেল মিশিয়ে গরম করুন। তাতে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন।

এর পর হাঁড়ির মুখ চাপা দিয়ে অল্প আঁচ এ রাঁধুন। মাংস সেদ্ধ হলে টক দই ফেটিয়ে ঢেলে দিন। তার পর কেওড়া জল ছড়িয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিন। উপর থেকে ধনেপাতা কুঁচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রুশ বিপ্লব চ্যাপটার 1, ভোজ বিপ্লব চ্যাপটার 2!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ববাসী মেতে ওঠে এক দারুণ উৎসবে। আমাদের দেশ এখনও পর্যন্ত সেই উৎসবে ব্রাত্য হলেও ফুটবল খেলায় এখানকার মানুষজন বরাবরই আবেগপ্রবণ। ফুটবলের মতো উন্মাদনা অন্য কোনও খেলা সৃষ্টি করতে পারে না। সাহিত্য, চলচ্চিত্রের মতোই ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির ঐতিহ্য। এখনও যে কোনও আড্ডায় বাঙালিরা তর্ক জমে ওঠে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান নিয়ে।

সত্যজিৎ রায়, চ্যাপলিনের পাশাপাশি বাঙালি একই আসনে বসিয়েছে পেলে এবং মারাদোনা, মেসি ও রোনাল্দোকেও। আর যখন বিশ্ব জুড়ে ফুটবল জ্বরে মেতে উঠেছে সবাই তখন খাওয়া-দাওয়াকে কেনই বা বাদ দেওয়া যায়। বিয়েবাড়ি থেকে পিকনিক, ক্যান্টিন থেকে রেস্তোরাঁ এমনকি বিশ্বকাপেও ভোজনবিলাসী বাঙালির জয়জয়কার। তাই সকল পেটুকদের মন ভরাতে চ্যাপ্টার ২ নিয়ে এল এক অভিনব ফুড ফেস্টিভ্যাল।

বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্য ‘ওয়ার্ল্ড কাপ স্পেশ্যাল’ মেনু নিয়ে হাজির ১৬৪/১ মানিকতলা মেইন রোডের চ্যাপটার ২। আমিষ-নিরামিষ মিলিয়ে বিভিন্ন রকমের পদ। রেস্তোরাঁতে পা ফেলা মাত্রেই আপনি পাবেন
ল্যাম্ব পেপার স্টেক, হাম স্টেক, গ্রিল ভেটকি, প্রন স্টেক, ক্রিম অব মাশরুম স্যুপ, ফ্রেঞ্চ অনিয়ন স্যুপ এ ছাড়া আরও কত কি! বিশ্বকাপ চলাকালীন চলবে এই ফেস্টিভ্যাল সিজন।

সব শেষে প্রশ্ন আসে, পকেটে চাপ কতটা পড়বে? দুই জনের খরচ পড়বে ১০০০ টাকার মতো। তার উপরে কর। খাদ্যপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিন সন্ধে ৫.৩০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে রেস্তোরাঁর দরজা।

ঝোলের গায়ে ভাপার নালিশ...জিভ চিনেছে আচারি ইলিশ!

$
0
0

রাত পোহালেই জামাইদের বার্ষিক উৎসব। কোঁচা মেরে ধুতি পাঞ্জাবি পরে এক হাঁড়ি রসগোল্লা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের আসার দিন ফুরিয়েছে। তা বলে পেটপুজোর খাতে কোনও খামতি নেই। বাজারে আজ লিচু ২০০ টাকা কেজি, ইলিশ মাছ ১২০০ । তাও জামাই বাবাজির মুখে হাসি ফোটাতে মেয়ের বাবা বেছে বেছে সবই কিনছেন। দরদাম করে হিমসাগর নিচ্ছেন। হিমগরের ইলিশের স্বাদ তেমন হবে না জেনেও কিনছেন। মেয়ের কাছে শুনেছেন, জামাই ইলিশ খেতে বড়ই ভালোবাসে। শ্বাশুড়ি মা প্রতিবার সরষে ইলিশ বা পাতুরি বানান। কিন্তু এবার জামাইয়ের সদ্য অ্যালার্জি ধরা পড়েছে সরষেতে। এদিকে মাছটাও মনোমত পাওয়া যায়নি। অতএব কীপদ রান্না করা যায়! চিন্তায় গালে হাত? আজ আমার খাতা থেকে সব শাশুড়ি দের জন্য রইল আচারি ইলিশের রেসিপি। অন্যস্বাদের এই ইলিশে জামাইয়ের মন ভরবেই।

যা যা লাগছে
ইলিশ মাছ – ৫-৬ পিস বড় টুকরো
পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
রসুন বাটা – ২ চামচ
জিরে বাটা – ১ চা চামচ
জিরে গুড়ো – ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা – ১/৪ কাপ
টমেটো পেস্ট – ১/৪ কাপ
কাঁচা আম সিদ্ধ করে বেটে নেওয়া – ২ টি ( মাঝারি মাপের)
কালোজিরে – ১/৪ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা – ১/২ চা চামচ
হলুদ – ১/২ চা চামচ
সরষের তেল তেল – ২ টেবিল চামচ
চিনি – ১/২ চা চামচ
নুন- স্বাদমতো

কীভাবে বানাবেন:
মাছ ধুয়ে একটু নুন ও হলুদ মেখে রাখুন। প্যানে সরষের তেল গরম করে মাছ হালকা ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন। এ বার সরষের তেল গরম করে কালোজিরা ফোড়ন ও পেঁয়াজ দিয়ে বাদামী করে ভেজে নিন। এবার বাকি সমস্ত বাটা মশলা, হলুদ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে জল দিন। জল ফুটতে শুরু করলে মাছগুলো দিয়ে দিন। নুন দিয়ে ঢেকে রাখুন। জিরে গুড়ো ও চিনি ছিটিয়ে দিন। মাখা মাখা ঝোল রেখে তেলউপরে ভেসে উঠলে কাঁচা লঙ্কা চিরে উপর থেকে দিয়ে দিন।

আনারসে জিভে জল কিচেনে...শিখে নাও হুলি হুলি চিকেনে!

$
0
0

গ্রিল চিকেন ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। বড় বড় রেস্তরাঁর বাইরে কাবাব হতে থাকা মুরগিগুলো দেখেতে পাওয়া যায় আর তার সঙ্গে যদি সুভাস একবার নাকে এসে যায়, তবে কি আর লোভ সামলানো যায়!

অনেকেই হয়তো জানেন না যে এ সুস্বাদু গ্রিল চিকেন খুব সহজেই বাড়িতে বানানো যায়। আপনাদের কথা মাথায় রেখে রইল রইল আজকের রেসিপি হুলি হুলি চিকেন। কিভাবে বানাবেন রইল তার হদিশ?

উপকরণ: চিকেন, চিনি ছাড়া আনারসের জুস-১ কাপ, সয়া সস-আধ কাপ, ব্রাউন সুগার-আধ কাপ, কেচাপ-আধ কাপ, চিকেন ব্রোথ ২ কাপ, আদার শিকড় বাটা ২ চামচ, রসুন কুঁচি, পেঁয়াজ পাতা

পদ্ধতি: একটা মাঝাড়ি পাত্রে আনারসের জুস, সয়া সস, ব্রাউন সুগার, কেচাপ, চিকেন ব্রোথ ১কাপ, আদা, রসুন দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখুন। বাকি ১ কাপ চিকেন ব্রোথ তুলে রেখে দিন। এর পর চিকেনগুলো দিয়ে দিন। সারা রাত ধরে ম্যারিনেট করে রাখুন তা না পারলে অন্তত তিন ঘন্টা পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।

এর পর গ্রিলারে চিকেন দিয়ে ৬-৮ মিনিট প্রর্যন্ত গ্রিল করুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত গোলাপি হয়ে যাচ্ছে। গ্রিল করার ৫ মিনিট পর বাকি চিকেন ব্রোথ ওই গ্রিল করা চিকেনের উপর ছড়িয়ে দিন। এর পর উপর থেকে পেঁয়াজ পাতা সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আম খেতে খুব ভালোবাসি, আমি দিয়ে রান্না করতেও

$
0
0

ঘনশ্যাম দাস
এগিজিকউিটভ শেফ


বংশ পরম্পরায় আমরা শেফ। আমার বাবাও শেফ ছিলেন। দাদারাও শেফ। ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম বাবা, দাদাদের মতো শেফ হব। বাবার হাতের ফিশ চপ, ফিশ রোল আমার বেশ পছন্দের। বেশ মজাদার খাবার ছিল এগুলো। ইচ্ছা ছিল আমিও অনেকরকম রান্নাবান্না করব। সকলকে খাওয়াব। খেতেও ভীষন ভালোবাসি। এই পেশা বেছে নেওয়ার আরেকটা কারন হয়ত সেটাই। আম আমার ভীষন প্রিয়। খুব ভালোবাসি আম খেতে। আম সম্পর্কে জানিও অনেকটা। তাই আমাদের শেফকে বললাম যে আম নিয়ে একটা ফেস্টিভাল হোক। তাই শুরু হল আম উৎসব।

থাইল্যান্ডে এই ধরনের ম্যাঙ্গো ফেস্টিভাল হয়। আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি। অনেক খাবারদাবার নিয়েও গবেষনা করেছি। বিশেষত আম দিয়ে কি কি খাবার বানানো যায় সেই নিয়েও গবেষনা করেছি। স্লাইডারস অফ গ্রিলড থাই চিকেন উইথ হইসেন, গুচুজাং চিলি ম্যাঙ্গো ডিপ বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমে রেড লোটাস ফ্লাওয়ার ও সাধারন ময়দার সঙ্গে ইস্ট, বেকিং পাউডার আর ক্রাশড চিনি মিশিয়ে স্টিম বান তৈরি করে নিতে হবে। আরেকদিকে মিন্সড চিকেন করে ওটাকে ডাম্পলিং তৈরি তাকে হইসিন সল্ট দিয়ে গ্রিল করা হয়। যেমন বার্গার তৈরি করা হয়। ঠিক তেমনই এটা। ম্যাঙ্গো বানের মাঝখানে দিয়ে ফের স্টিম করা হয়। এবার একটা আলফানসো আম দিয়ে গুচুজাং চিলি সস সহযোগে পরিবেশন করতে হবে। বাবার কাছে কিছু রান্না শিখেছি। আর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকাকালীন শিখেছি বাকিটা। দুধ একটু এড়িয়ে চলি আমি। তাই হয়ত ওরিয়েন্টাল শেফ হয়েছি। নয়ত বাবা, দাদাদের মতো ইন্ডিয়ান বা কন্টিনেন্টাল শেফ হতাম।

ওরিয়েন্টাল খাবারে খুব কম তেল থাকে। ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি করে না এই খাবার। খুবই সুস্বাদু হয় এই খাবার। তবে একেবারে নন অয়েলি। দীর্ঘদিন আমি ইন্টারন্যাশনাল শেফদের সান্নিধ্যে থেকেছি। কিভাবে কম তেল দিয়ে সুস্বাদু রান্না করা যায়, কিভাবে টেম্পারেচার মেইনটেন করা হয়, কিভাবে গ্রিল করা হয় সেটা শিখেছি। এশিয়ান ম্যাঙ্গো স্যালাড বানাই থেকে আলফানসো ম্যাঙ্গো সুসি উইথ ওয়াসাবি আইসক্রিম সবটাই বানাই। আজকাল এইসব খাবার মানুষ ভীষন পছন্দ করছে। এছাড়া মাছ এবং আম দিয়েও অনেকরকম খাবার বানাই। বাঙালি মাছও ভালোবাসে, আমও। দুটো একই পদে মিললে তো বেশ ভালোই লাগে। তাই না? বাবার হাতের রান্না সবসময়ই ভালো লাগত। বর্তমানে আমি শেফ সুমন্ত আর শেফ স্বরূপের হাতের রান্না খেতে খুব পছন্দ করি।

স্লাইডারস অফ গ্রিলড থাই চিকেন উইথ হইসেন, গুচুজাং চিলি ম্যাঙ্গো ডিপ

উপকরন- ১৫০ গ্রাম আম, ৭০ গ্রাম চিকেন, ১০০ গ্রাম রেড লোটাস ফ্লাওয়ার, ৭০ গ্রাম রিফাইনড ময়দা, ৫ গ্রাম কালো মরিচ, ৫ গ্রাম ইস্ট, ৮০ গ্রাম তেল, ২ গ্রাম নুন, ১০ গ্রাম চিনি, ১০ মিলি হইসেন, ৫ মিলি সিসামে অয়েল, ১০ গ্রাম গুচুজাং চিলি পেস্ট, ১০ গ্রাম রেড কারি পেস্ট, ৫ গ্রাম তুলসী, ১০ গ্রাম গালাঙ্গাল।

পদ্ধতি- প্রথমে রেড লোটাস ফ্লাওয়ার এবং সাধারন ময়দা একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। এর সঙ্গে ইস্ট, বেকিং পাউডার আর ক্রাশড চিনি মিশিয়ে স্টিম বান তৈরি করে নিতে হবে। স্টিম হয়ে গেলে বান-টিকে ১/২ করে কেটে নিতে হবে। আরেকদিকে আলাদা করে থাই গ্রিল চিকেন বানিয়ে নিতে হবে। এবার বান-র মাঝখানে এই হইচিন, গুচুজাং চিলি ডিপ, থাই গ্রিলড চিকেন দিতে হবে। তার সঙ্গে আমের টুকরো দেওয়া হবে বান-র মাঝে। এবার সার্ভিং স্টিক গেঁথে দিন। এবার ফ্রেশ ম্যাঙ্গো দিয়ে সাজিয়ে গুচুজাং চিলি সস সহযোগে পরিবেশন করতে হবে।

Viewing all 1736 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>