Quantcast
Channel: Eisamay
Viewing all 1736 articles
Browse latest View live

মহানায়কের রসনায় হিট ডিমের রসা, কীভাবে বানাবেন শিখে নিন...

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির আবেগ ও নস্টালজিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত মহানায়ক উত্তমকুমার।
এখনও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। বেশ ভোজন রসিক মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ছিল রসগোল্লা। তবে তিনি রসগোল্লার উপর কিছুটা নুন মিশিয়ে খেতেন বলে জানা যায়। সরাসরি চিনি এড়িয়ে যেতেই নাকি তিনি এমন কাণ্ড করতেন।

মহানায়কের বাড়ির অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে পোস্তর উপর তাঁর বিশেষ দুর্বলতা ছিল। সেই সঙ্গে পছন্দ করতেন চিংড়ি মাছ, ভেটকি মাছ, পাঁঠার মাংস। সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে থাকাকালীনও প্রায়ই চলে আসতেন ভবানীপুরের বাড়িতে। শুধুমাত্র মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার জন্য। মা চপলাদেবীর হাতের ভেটকি মাছের কাঁটাচচ্চড়ির টানে ভোজনরসিক মহানায়ক শনি-রবিবার হলেই হাজির হতেন পৈত্রিক বাড়িতে।

খাওয়ার সময় সুপ্রিয়া দেবী নিজে বসে সব খাবার বেড়ে দিতেন। নিজের হাতেই সবরকম রান্না করতেন উত্তম কুমারের জন্য। মহানায়ককে ভীষণ ভালোবাসতে সুপ্রিয়া দেবী, তাঁকে যত্নও করতেন ভীষণ। রান্না করে খাওয়াতেন মহানায়কের পছন্দের খাবার। যার মধ্যে ভেটকি মাছে 'কাঁটা চচ্চরি'র গল্প হয়ত বা অনেকেই জানেন। মাছ, মাংস, মিষ্টি, ফল কিছুই বাদ রাখতেন না তিনি। কিন্তু খাবার টেবিলে গেলে আনন্দে দিশেহারা হয়ে যেতেন মহানায়ক। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন বুঝতে পারতেন না। চুপ করে বসে ভাবতেন কোনটা দিয়ে শুরু করবেন। মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রয়াণ দিবস আজ। এই দিনটিকে স্মরণে রাখার জন্য আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ডিমের রসা

উপকরণ
ডিম সেদ্ধ-৪টি, সেদ্ধ করা মাঝারি আকারের আলু-২টি, সাদা জিরে-১/৪ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা-৩টি, তেজপাতা-১টি, পেঁয়াজ বাটা-১ টেবিল চাঁমচ, রসুন বাটা-১/২ চা চামচ, টমেটো বাটা-১ চা চামচ, আদা বাটা-১ চা চামচ, পাকা লঙ্কা বাটা-১/২ চা চামচ, নুন-স্বাদমত, হলুদ-১/২ চা চামচ, চিনি-১/২ চা চামচ, গরম মশলা-১/৪ চা চামচ, সাদা তেল-৭৫ মি লি।

77146313

পদ্ধতি

প্রথমে সেদ্ধ করা ডিমগুলোকে কাটা চামচ দিয়ে ফুটো করে পরিমানমত নুন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিন। কাড়াতে তেল গরম করে হালকা করে ভেজে নামিয়ে নিন। সেদ্ধ করা আলুগুলোকেও পিস করে নুন ও হলুদ দিয়ে ভেজে নামিয়ে নিন। এবার ওই তেলে জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোরণ দিয়ে পেঁয়াজ বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে টমেটো বাটা দিন। ভালো করে মশলা কষাতে থাকুন। এর পর আদা বাটা, জিরা বাটা, লঙ্কা বাটা দিন। মশলা ভাজা হয়ে তেল বের হতে শুরু করলে পরিমানমত জল দিয়ে ফুটে উঠতে দিন। স্বাদমত নুন ও হলুদ দিন। এবার ভেজে রাখা ডিম ও আলু দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে চিনি ও গরম মশলা দিয়ে মিলিয়ে আভেন বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ দমে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডিমের রসা।


খেতে অনবদ্য, কিন্তু বানাবেন কীভাবে? আজ রইল লোটে মাছের ঝুরির রেসিপি!

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: মাছের তালিকায় বহুদিন ধরেই ব্রাত্য ছিল লোটে। এবং তা অবশ্যই দামের দিক থেকে। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই যে এই মাছের খুব পরিচিতি রয়েছে এমনটা নয়। ইদানিং প্রায় সব বাড়ির রান্নাঘরেই ঢুকে পড়েছে এই মাছ। এর সৌজন্য খানিকটা রাজ্যে বছরভর চলা মেলাগুলির প্রাপ্য। বিভিন্ন খাবারের স্টলে লোটে ফ্রাই একদম হটকেকের মতো বিক্রি হয়। দেখতে যেমনই হোক না কেন গরম ভাতের সঙ্গে লোটে ঝুরির সম্পর্ক খানিকটা 'প্রাক্তনে'র মতো। যাঁরা একবার খেয়েছেন তাঁরা যেমন লোটের মায়ায় পড়ে গিয়েছেন, তেমনই অনেকে গন্ধ সহ্য করতে না পেরে দূর থেকেই কেটে পড়েছেন।

লোটের দুরকম রান্না সাধারণত প্রচলিত। এক- ঝুরি, দুই-আলু, টমেটো, বেগুন দিয়ে লোটের মাখা মাখা তরকারি। কিন্তু ভোট ব্যাংকের বিচারে এগিয়ে রয়েছে লোটে মাছের ঝুরি। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা আর সরষের তেলের মিশ্রণে কড়াই থেকে ছ্যাঁক-ছ্যোঁক শব্দ আসলেই মন ঘুরঘুর করে রান্নাঘরের আশপাশে। অনেকটা বেলা হল। কথা বাড়িয়ে কাজ নেই। বরং দেখুন সহজ উপায়ে কীভাবে বাড়িতে বানাবেন। শেফ সৌগত ঘোষের হেঁশেল থেকে শনিবারের ইসস্পেশ্যাল লোটে মাছের ঝুরি।

যা যা লাগছে
লোটে মাছ- ৫০০ গ্রাম
নুন
হলুদ
পেঁয়াজ বাটা- ২ চামচ
আদা বাটা-১ চামচ
রসুন বাটা-১ চামচ
কাঁচালঙ্কা বাটা- ১ চামচ
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চামচ

দেখুন রেসিপি ভিডিয়ো

যেভাবে বানাবেন
কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে মাছ ছাড়ুন। একটু নাড়াচাড়া করে ১০ মিনিট চাপা দিয়ে রাখুন। দেখবেন ভাপে মাছ খানিক সেদ্ধ হয়ে আসবে আর কাঁটা ছেড়ে আসবে। এবার মাছের থেকে কাঁটা আলাদা করে নিন। এবার অন্য একটি কড়াইতে সরষের তেল গরম করুন। এবার দু চামচ পেঁয়াজ বাটা দিন। ভালো করে ভেজে আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা দিন। সামান্য হলুদ, নুন আর একচামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষতে থাকুন। কষা হলে মাছ দিন। আবার ভালো করে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না তেল ছেড়ে আসে। তেল ছেড়ে আসলে আর বাদামি রং ধরলেই রেডি লোটে মাছের ঝুরি।

আরও পড়ুন

রবিবারের দুপুরে পাবদার তেল ঝাল হলে কেমন হয়? রইল রেসিপি, আজই বানান বাড়িতে...

লকডাউনে বিরিয়ানিতেই আনন্দ খুঁজে পেলেন খাদ্যবিলাসি ভারতীয়রা!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দুপুরে বা রাতে খাবার পাতে এক প্লেট ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির গন্ধই যেন খিদেটা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। এক প্লেট বিরিয়ানি... তাতেই মুহূর্তে বদলে যায় মুড। বিরিয়ানির সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার যদি কাউকে নাও পাওয়া যায় কুছ পরওয়া নেহি। মানুষের বিরিয়ানির প্রতি এই দুর্বলতা লকডাউনেও কমেনি বিন্দুমাত্র। যাঁরা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করতে পারেননি, তাঁরা নিজেরাই বাড়িতে বসে বিভিন্ন রান্নার ভিডিয়ো দেখে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন পাকা রাঁধুনে। বাড়িতেই বানিয়ে নিয়েছেন চিকেন অথবা মটন বিরিয়ানি। না, কথার কথা নয়। একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম Swiggy-র তরফে প্রকাশিত StatEATistics report: The Quarantine Edition-এ দাবি করা হয়েছে লকডাউনের সময়ে ভারতীয়রা তাঁদের পছন্দের রেস্তোঁরা থেকে অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ বার বিরিয়ানি অর্ডার করেছেন। নিউ নর্মালের ফাঁদে পড়ে মানুষের আচার ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন যেমন এসেছেন, তেমনই কিছু স্বভাব থেকে গিয়েছে অপরিবর্তিত। বিরিয়ানি প্রীতি তার মধ্যেই অন্যতম। বিরিয়ানির পরই পছন্দের খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাটার নান এবং মসালা দোসা। বাটার নান অর্ডার করা হয়েছে ৩,৩৫,১৮৫ বার এবং মসালা দোসার অর্ডার হয়েছে ৩,৩১,৪২৩ বার। তবে এই প্রথম নয়। এই নিয়ে পর পর চারবার সব চেয়ে বেশি অর্ডার হওয়া খাবারের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বিরিয়ানি।

আরও পড়ুন: শহরে এ বার স্যুইগি-জোম্যাটোর হাত ধরে মদের হোম ডেলিভারি
ভোজনবিলাসি ভারতীয় এই লকডাউনে কিন্তু ভুলে যাননি তাঁদের প্রিয় মিষ্টিকেও। কেউ কেউ যেমন সংক্রমণের ভয়ে বাড়িতেই বানানোর চেষ্টা করেছেন পছন্দের মিষ্টি, তেমনই বহু মানুষ রেস্তোঁরা থেকেই বাড়িতে আনিয়ে নিয়েছেন মিষ্টি ও বেকারির খাবার। লকডাউনের বাজারে সবচেয়ে বেশি অর্ডার করা হয়েছে চকো লাভা কেক। তুলতুলে নরম চকোলেট কেকের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মোল্টেন চকোলেটের স্বাদে মজেছেন মিষ্টি বিলাসি ভারতীয়রা। অর্ডার করা হয়েছে প্রায় ১,২৯,০০০ বার। এরপরেই তালিকায় রয়েছে গুলাব জামুন (৮৪,৫৫৮ বার), বাটারস্কচ মুজ কেক (২৭,৩১৭ বার)। ভার্চুয়াল জন্মদিনের পার্টির জন্যে দেশের বিভিন্ন শহরে এই লকডাউনে মোট ১,২০,০০০ কেক ডেলিভারি দিয়েছে সুইগি। চমকের এখানেই শেষ নয়। প্রতিদিন সন্ধে ৮টার মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার মিলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে এই ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে। সংকটের সময়ে বাড়ির দরজায় পছন্দের রেস্তোঁরার খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্যে পুরস্কারও পেয়েছেন ডেলিভারি পার্টনাররা। গড়ে ২৩.৬৫ টাকার টিপ পেলেও, এক উদার মনের গ্রাহক দিয়েছেন ২৫০০ টাকা!

শনিবারের স্বাদবাহার: স্বাদ ও স্বাস্থ্যের মেলবন্ধন লুচির পায়েস

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: খাবার আমরা যে যার নিজের পছন্দের খেতে ভালবাসি। কেউ ভালবাসে আমিষ আবার কেউ নিরামিষ। খাওয়াটা যার যার নিজের তৃপ্তি। কিন্তু আমরা সপ্তাহের বিশেষ বিশেষ দিনে নিরামিষ খেয়ে থাকি, যার যার আরাধ্য দেবতাকে তুষ্ট রাখার জন্য। যেমন সোমবার মহাদেবের পুজোর জন্য নিরামিষ খেয়ে থাকেন অনেকেই। বলা হয়, এতে মহাদেবের কৃপা লাভ করা যায় ও আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এছাড়াও চন্দ্র গ্রহকে তুষ্ট করার জন্য অনেকে সোমবার নিরামিষ খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা শনিবার নিরামিষ খেয়ে থাকেন। বলা হয়, শনিবারে নিরামিষ খাবার খেলে শনিদেবর কৃপা লাভ করা যায়।

আসলে, ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিরামিষ খাবার অত্যন্ত জরুরি। আমাদের দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ নিরামিষ খাবার খেতে পছন্দ করেন। নিরামিষ খাবারে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এছাড়া প্রোটিন ও জরুরি নিউট্রিশনস থাকে। নিরামিষ খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকেনা। ফলত এই ধরণের খাবার আমাদের শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না এবং অনেক রকম রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

চালের পায়েস, ছানার পায়েস সকলেই খেয়েছেন। কিন্তু লুচি দিয়েও পায়েস তৈরি করা যায়। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। খুব কম সময়ে তৈরি করে ফেলা যায়। কী ভাবে তৈরি করবেন জেনে নিন।

ভিডিয়োটি দেখতে ক্লিক করুন...

উপকরণ-ময়দা ১ কাপ, নুন-সামান্য, সাদা তেল, জল, খোয়া ক্ষির-১/৪ কাপ, নারকেল কোড়া-১/২ কাপ, এলাচগুঁড়ো-সামান্য, চিনি-স্বাদ অনুযায়ী, দুধ-৫০০ মিলি লিটার, গুঁড়ো দুধ-১/২ কাপ, ঘি-এক চামচ।

পদ্ধতি: প্রথমে ময়দাটা ভালো মেখে ডো তৈরি করে নিন। এর পর পাতলা কাপড় দিয়ে পাত্রের মুখটি মুড়ে রেখে দিন। এর পর অন্য একটি পাত্র বসিয়ে তাতে এক চামচ ঘি দিয়ে দিন। সামান্য গরম হয়ে গেলে তাতে খোয়া ক্ষির দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। এর পর নারকেল কুড়োটা দিয়ে দিন। সামান্য একটু এলাচগুঁড়ো ও চিনি দিয়ে দিন। ভালো মিশিয়ে দিন। একটা মন্ড তৈরি হয়ে যাবে। এর পর ওই মেখে রাখা ডো থেকে ছোট ছোট লেচি বানিয়ে নিন। ওই লেচিগুলোর মধ্যে পুরের মতো করে দিয়ে দিন। এর পর আলতো চার দিয়ে পুরভরা লুচি গুলো ভালো করে ভেজে নিন। এর পর অন্য পাত্রে দুধটা দিয়ে এলাচগুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে এলে তাতে গুঁড়ো দুধ দিয়ে দিন। দুধ ফুটে অর্ধেক হয়ে গেল তাতে চিনি মিশিয়ে দিন। এর পর ভাজা লুচি গুলো দিয়ে দিন। আভেন ছোট করে দশ মিনিট ঢেকে রাখুন। এর পরই তৈরি হয়ে যাবে লুচির পায়েস।

বাইরের খাবার থাক না, বরং বাড়িতেই হোক ডাব চিংড়ি! সহজ রেসিপি আপনাদের জন্যে...

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: চিংড়ির সঙ্গে ডাবের মেলবন্ধন যেমন সুন্দর তেমনই সুস্বাদু। ডাব চিংড়ি বাঙালির ঐতিহ্য। আর এই পদের কপিরাইটও কিন্তু শুধু বাঙালিদেরই। সাদা লম্বা সরু চালের ভাতের পাশে ডাব চিংড়ি ঠিক যেন 'নতুন জামাই'। অষ্টমী থেকে জামাইষষ্ঠী পঞ্চব্যাঞ্জনে চিংড়ি থাকবেই। ডাবের শাঁস আর চেনা মশলাতেই খোলতাই হয় তার স্বাদ। আর বাড়িতে বানানো? খুবই সহজ। যা যা উপকরণ লাগে তা আমাদের রান্নাঘরেই মজুত থাকে। আলাদা করে খোঁজ করতে হয় না। বাজার থেকে একটু বেছে দুটো কচি ডাব আর চিংড়ি আনুন। সামান্য ধৈর্য্য মিশিয়ে লেগে পড়ুন জোগানে। হলফ করে বলা যায় একবার বাড়িতে বানালে দ্বিতীয় বার রেস্তোঁরায় অর্ডার দেওয়ার আগে একটু ভাবনাতেই পড়তে হবে। যতই পাতে ইলিশ, পাবদা, পারশে পড়ুক না কেন জলের পোকা বলে এই মাছটিকে হেয় করার আগে দুবার ভাববেন। চিংড়ি ছাড়া কিন্তু বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানের ভুরিভোজ অসম্পূর্ণ। দেখে নিন বাড়িতেই খুব সহজ উপায়ে কীভাবে বানাবেন এই ডাব চিংড়ি। শেখালেন শেফ সৌগত ঘোষ

যা যা লাগছে

কচি ডাব- ২ টো
চিংড়ি- ৪০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা- ৬টা
পেঁয়াজ- ২ টো ( বড় মাপের)
আদা-৫ গ্রাম
নুন- ২ চামচ
হলুদ- ১ চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো- ১ চামচ
চিনি- ১/২ চামচ
পোস্ত- ১ চামচ
গরম মশলা-১/৪ চামচ
সরষের তেল- ৩ চামচ
ডাবের শাঁস- ৫০ গ্রাম
ডাবের জল- ৩ চামচ

77181254

যেভাবে বানাবেন

সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে নিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে রাখুন। এবার চিংড়ির মধ্যে মিশ্রণটি মাখিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেন নষ্ট না হয়। এবার ডাবের মধ্যে চিংড়ি ভরুন। এক একটা ডাবে খুব বেশি চারটে করে চিংড়ি দেবেন। এবার ডাবের মুখ ভালো করে আটা দিয়ে আটকে দিন। গ্যাসে লো ফ্লেমে বসিয়ে দিন। ৬০ থেকে ৮০ মিনিট মতো সময় লাগবে।

দেখুন রেসিপি ভিডিয়ো


নইলে কড়াইতে চিংড়িভাবে বসান। উপরে অবশ্যই কিছু একটা চাপা দিন। ২০ মিনিট মতো সময় লাগবে এতে। দেখবেন ভাপ যেন কোনওভাবেই না বেরোয়। এই রান্না কিন্তু ভাপেই হবে। ঠান্ডা হলে গ্যাস থেকে নামিয়ে পছন্দ মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন ডাব চিংড়ি। এই পদ্ধিতে বাড়িতে ডাব চিংড়ি বানিয়ে কেমন লাগলো তা কিন্তু আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন

খেতে অনবদ্য, কিন্তু বানাবেন কীভাবে? আজ রইল লোটে মাছের ঝুরির রেসিপি!

বিঞ্জ বেফিকর! লকডাউনে ভাই-বোনের মুখে হাসি ফোটাতে নয়া ঠিকানা...

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু বিশেষ দিনও থাকে, যখন সব ঝগড়া, খুনসুটি, মায়ের কাছে নালিশ ভুলে ভাই-বোনের সম্পর্কের মধুর দিকটাই গুরুত্ব পায়৷ যেমন রাখীর দিন৷ যদিও ভাই ফোঁটাই হলো বাঙ্গালির ভাই-বোনের নিজস্ব অফিসিয়াল ডে, রাখী মূলত অবাঙালি পার্বণ হলেও উত্‍সব প্রিয় বাঙালি অনেকদিন তাকে নিজগুণে আপন করে নিয়েছে৷ ভাই বোনের সম্পর্কে সেলিব্রেট করার জন্য আরও একটা স্পেশাল দিন হলে ক্ষতি কি?
77182024

তবে, এই বছর করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত কিছু। শপিং মল থেকে সিনেমা হল সবই বন্ধ। দেশে চলছে লকডাউন পর্ব। তবে বন্ধনের উৎসব হল এই রাখি। এই অবস্থায় ভাই বা বোনকে কী উপহার দেওয়া যায়, তা নিয়ে অনেকে ভেবেই কুল করতে পারছেন না। তাই এই বছর বিশেষ দিনটায় প্রাতঃরাশ থেকে নৈশভোজ হোক ভাই বা বোনের পছন্দের খাবার। বাড়িতে বসে অর্ডার করে আনিয়ে নিন বিঞ্জ বেফিকর থেকে। এই কোভিড পরিস্থিতিতে ইমিউনিটির কথা মাথায় রেখে নিয়ে এসেছে ইমিউনিটি বুস্ট প্ল্যাটার যেমন-থাই রাখি প্ল্যাটার, আরবিয়ান রাখি প্ল্যাটার, ইতালিয়ান রাখি প্ল্যাটার, ডেজার্ট প্ল্যাটার-সহ বিভিন্ন আইটেম। থাই রাখি প্ল্যাটার পড়বে ৭৯৯ টাকায়, ৬৯৯ টাকায় ডেজার্ট, ৮৯৯ টাকায় আরবিক প্ল্যাটার। সুতরাং আর চিন্তা কিসের বাড়িতে বসেই অনলাইন ফুড ডেলিভারির মাধ্যমে পেয়ে যান আকষর্ণীয় গিফ্ট।

মাখন-মোলায়েম রেয়াজটাই স্বাদের রাজা

$
0
0

হদিশ দিলেন সুরবেক বিশ্বাস

আহা, যদি এমনটা হতো!

মাংসের গায়ে সাদা রেয়াজ লেগে নেই। বরং, উল্টো। রেয়াজের গায়েই মাংস বা মিট লেগে। রেয়াজটাই মুখ্য, মাংস গৌণ। মাংসপ্রেমী ভোজনরসিক মাত্রেই রেয়াজি মাংস পছন্দ করবেন। তখন তিনি কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও ওজন বাড়ার সমস্যা জাতীয় ভাবনা-টাবনাগুলো চুলোয় দেবেন অবশ্যই। আর সেই মাংস যদি হয় সবটাই রেয়াজ-নির্ভর! যে অংশ থেকেই মাংস কাটা হোক না কেন, রেয়াজিই রেয়াজি। যার ফলে সেই মাংস অবশ্যই হতো মাখন মোলায়েম।

হতো না, এমনটা সত্যিই হয়। দুম্বার মাংসেই এমনটা হয়।

দুম্বা। কোরবানি ঈদ বা ঈদ-উল-আজহা বা বকর ঈদের সঙ্গে দুম্বার মাংস সমার্থক। দুম্বা হল ভেড়ারই গোত্রের, তবে মরুদেশের ভেড়া। যার পিছন দিকটা মোটা। দুম্বাকে অনেকে বলেন, আরবি বকরা। আরব দেশে দুম্বার মাংস ততটাই সুলভ, যতটা সুলভ আমাদের দেশে খাসির মাংস।

পার্ক সার্কাসের একটি বনেদি পরিবারের বধূ, পেশায় কলেজ-শিক্ষিকা সাবা তহসীন বললেন, 'পয়গম্বর হযরত ইব্রাহিমের কাছে আল্লা তাঁর সব চেয়ে প্রিয় যা, তার কোরবানি চেয়েছিলেন। ইব্রাহিমের প্রিয়তম ছিলেন তাঁর পুত্র ইসমাইল। আল্লার কাছে সমর্পিত ইব্রাহিম তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি দিতে গিয়ে দেখলেন, সেই জায়গায় একটি দুম্বার কোরবানি হয়েছে। সেই জন্য কোরবানি ঈদের সঙ্গে দুম্বার মাংস অনেকটাই সমার্থক।'

ধর্মের পাশাপাশি দুম্বার মাংসের স্বাদ-মাহাত্ম্যও কিছু কম নয়। রন্ধন পটীয়সী সাবার ব্যাখ্যা, 'খাসির মাংসকে যদি ব্রয়লার মুরগি বলে ধরে নিই, তা হলে দুম্বার মাংস, আমার কাছে, দেশি মুরগি। খাসির মাংস অতটা তুলতুলে, মখমলের মতো নরম হয় না।' সাবার কথায়, 'দুম্বার মাংস রান্নায় আমি কোনও কায়দা করব না। মশলা দিয়ে স্রেফ কষিয়ে রান্না করব। এতটাই রেয়াজি যে, কুকারে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।'

ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারের খানদানি মাংস বিক্রেতা মহম্মদ আদিল বোঝালেন, 'রেয়াজি খাসিতে সলিড মাংস ও রেয়াজের অনুপাত সাধারণত ৭০:৩০ বা ৬০:৪০ হয়। দুম্বার মাংসে রেয়াজিই ৭০ শতাংশ, বাকিটা সলিড মাংস ।' মাংস বিক্রেতারা রেয়াজ ও চর্বিকে এক বলে গণ্য করেন না। রেয়াজ হল সেই ফ্যাট, যা মাংসপেশির মধ্যে, তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে ওঠে। তপ্ত কড়াইয়ে খাসির চর্বি গলে যায়, রেয়াজ গলে না। খাসির মাংসে রেয়াজের সর্বাধিক উপস্থিতি তার সিনায়। মাটন রেজালা নামে যে স্বর্গীয় পদ, তার অটোম্যাটিক চয়েস হল রেয়াজি খাসির সিনার টুকরো।

আর ঠিক সেই কারণেই জমজম রেস্তোরাঁর কর্ণধার, ওস্তাদ রাঁধুনি সামসের আলমের বক্তব্য, 'দুম্বার মাংস দিয়ে আমি রেজালা রাঁধারই পক্ষপাতী। অতটা রেয়াজ যেখানে, সেখানে রেজালা ভালো খুলবে।' তবে সেই সঙ্গে সামসের বলছেন, 'দুম্বার যে অংশে রেয়াজ তুলনামূলক ভাবে কম, সেই মাংস দিয়ে বিরিয়ানি করলেও দারুণ হবে।'

বাংলাদেশে অবশ্য মানকচু দিয়ে দুম্বার মাংস রাঁধার চল আছে। ওই রান্নায় আদা-পেঁয়াজ-রসুন-জিরে-গরম মশলা এবং গোলমরিচ-শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো পড়ে। ভাত কিংবা রুটি-পরোটা দিয়ে অত্যন্ত উপাদেয়। এই পদটি মাংসের অন্যান্য সাধারণ পদের মতো রান্না হবে তেল দিয়ে। কিন্তু খানদানি পাখতুন পদ 'দুম্বা কড়াই'-তে তেল, ঘি কিছুই পড়বে না। ওই রান্নার কুকিং মিডিয়াম হল, দুম্বার নিজস্ব চর্বি। মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো। দুম্বা কড়াই-তে এক কেজি মাংস রান্না করতে লাগবে দুম্বার ২০০ গ্রাম ফ্যাট বা চর্বি। ওই রান্নায় পেঁয়াজ-রসুনও দিতে নেই। কেবল আদা কুচি (তা-ও সেটা রান্না হওয়ার পর গার্নিশিংয়ের জন্য), অনেকটা টোম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো।

কলকাতার কোনও রেস্তোরাঁয় অবশ্য দুম্বার মাংস খাওয়ার সুযোগ নেই। এখানে খাসির মতো দুম্বার মাংস কেটেও বিক্রি হয় না। দুম্বা কিনতে হয় গোটা। কোরবানির আগে এখানে ভিন দেশ কিংবা রাজস্থান থেকে কিছু দুম্বা ঢোকে। এ বার করোনা ও লকডাউনের কারণে কলকাতায় দুম্বা তেমন আসেওনি। রাজাবাজারে জনা তিনেক মাংস বিক্রেতার এক-এক জনের কাছে চার-পাঁচটি দুম্বা রয়েছে বলে জানা গেল। ৭০ কেজি ওজনের আস্ত দুম্বার দাম লাখ খানেক টাকা। গোটা হিসেবেই এক-এক কেজির দাম পড়ছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। বাড়ি বাড়ি কাঁচা খাবার সরবরাহ করা একটি ই-কমার্স সাইট জানাচ্ছে, ৬০ কেজি ওজনের গোটা দুম্বার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। সেখানে বলেই দেওয়া হয়েছে, দুম্বাটি থেকে খাওয়ার যোগ্য হাড় শুদ্ধ মাংস পাওয়া যাবে ৩৫ কেজি। সে ক্ষেত্রে এক কেজি মাংসের দাম পড়ছে সওয়া চার হাজার টাকা।

মহার্ঘ মাংসই বটে!

৫ তারার ভোজনবিলাস এবার আপনার দরজায়, QMIN হাজির সুখাদ্যের সম্ভার নিয়ে!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝেই বাঙালিকে বাড়িতে বসেই সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেড বা আইএইচসিএল। শুক্রবার ওই সংস্থার গুরমেট ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, কিউমিন (QMIN) কলকাতায় সাড়ম্বরে আত্মপ্রকাশ করল।

প্রথম পর্বে তাজ ও ভিভান্তা এর নামিদামি রেস্তোরাঁগুলি থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে। বাড়িতে বসেই চারটি সুপ্রসিদ্ধ রেস্তোঁরা যেমন- তাজ বেঙ্গল, কলকাতার চিনোইসেরি (Chinoiserie), সোনারগাঁও (Sonargaon) ও ক্যাল ২৭ (Cal-27) এবং ভিভান্তা, কলকাতা ইএম বাইপাস এর মিন্ট (Mynt ) থেকে খাবার অর্ডার করতে পারা যাবে।

তবে, হ্যাঁ এই পরিস্থিতিতে বিশেষ সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কিউমিন। কন্টাক্টলেস ডেলিভারি ও ডেলিভারি এগ্জিকিউটিভরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেই খাবার পৌঁছে দেবে। খাবার প্যাকেজিংও করা হবে স্বাস্থ্য সম্পন্ন বিধিতে। এই প্রসঙ্গে মনিশ গুপ্তা, এরিয়া ডিরেক্টর(ইস্ট) ও জেনারেল ম্যানেজার বলেন, 'আমরা কলকাতায় কিউমিন শুরু করতে পেরে আনন্দিত, কিউমিন (QMIN) হলো এক গুরমেট ফুড ডেলিভারি পরিষেবা যা গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান অনলাইনে খাবার পরিষেবার চাহিদা পূরণ করবে। কলকাতায় আইএইচসিএল এর ল্যান্ডমার্ক হোটেলগুলি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সুস্বাদু পদ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাছে বিশেষ লক্ষ্য'।

তবে, কিউমিন(QMIN) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি খুব শিঘ্রই কলকাতায় চালু হবে এবং আগামী মাসগুলিতে প্রমোদপ্রিয় খাঁটি শিল্পী ব্রান্ডের গুরমেট কিউমিন শপ(QMIN Shop) শুরু করা হবে। কলকাতায় অর্ডার দেওয়ার জন্য ডেডিকেটেড টোল-ফ্রি নাম্বারে ১৮০০২৬৬৭৬৪৬ কল করলে আপনার প্রিয় রেস্তোরাঁর খাবার পেয়ে যাবেন।


শনিবারের স্বাদবদল: রেস্তারাঁর স্বাদকে হার মানান, বাড়িতে হোক হালিম উৎসব!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হালিম আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার একটা এত জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে রোজা’র মাসে, সারা দিন উপোসের পর প্লেট পুরে খাওয়া মাংস আর ডাল। আর খানদানি বা যেমন-তেমন দোকানের বাইরে বিশাল হান্ডিতে তো পাবেনই। 'হালিম' শব্দটির অর্থ শান্ত, সহিষ্ণু। শুরুর দিকে আগের রাতে গম ভিজিয়ে রাখা হত। পরদিন গমের সঙ্গে মাংস দিয়ে রান্না করা হত। হালিমের নামেরও পরিবর্তন হয়েছে। আরবিতে একে বলা হয় হারিস। পরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এসে তার নাম হয় হালিম। হারিসের অর্থ মিশ্রণ। শব্দটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ‘কিতাব-আল-তাবিখ’ গ্রন্থে। দশম শতাব্দীতে বইটি লেখেন ইবনে সায়ার আল ওয়ারক।

আরব থেকে হালিম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া হয়ে এসে পৌঁছয় ভারতবর্ষে। প্রাচীন কালে সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখা গম পরদিন মাংস, ভেড়ার চর্বি বা মাখনে নিভু আঁচে ফোটানো হত। পরে তা ছেঁকে অবশিষ্ট মিশ্রণ পিষে ফেলা হত। নুন মিশিয়ে পরিবেশন করা হত দারচিনি, ঘি আর চিনি দিয়ে! আরব ও ইয়েমেন থেকে ভারতে এসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঢিমে আঁচে বেশিক্ষণ ধরে রান্না করাই হল হালিম তৈরির ঠিক পদ্ধতি। সাত-আট ঘণ্টা তো বটেই, কখনও তার বেশি সময়ও লাগে। হায়দরাবাদি হালিম রান্না করতে প্রয়োজন বিফ অথবা মাটন। গম, বার্লি, ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিতে হয়। পরদিন হাঁড়িতে মশলা মাখিয়ে মাংস রান্না করতে হয়। অন্য দিকে বিশাল বড় হাঁড়িতে সিদ্ধ বসানো হয় ভিজিয়ে রাখা ডাল-গম ইত্যাদি। মাংস রান্না হয়ে এলে গ্রেভি মেশানো হয় হাঁড়িতে। এই বছর কঠিন পরিস্থিতিতে বাড়িতেই তৈরি করে নিন হালিম-

ভিডিয়োটি দেখতে ক্লিক করুন



উপকরণ
মশলার উপকরণ
তেজপাতা-১টি, শুকনো লঙ্কা-৪টে, স্টার অ্যানিস-১টা, বড় এলাচ-১টা, ছোট এলাচ-৫টা, গোলমরিচ-১০টা, জায়ফল-১/৮ ভাগ, জৈত্রী-২ টুকরো, দারচিনি-২টো ছোট, জিরে-আধ চা চামচ, ধনে-আধ চা চামচ, মৌরি-আধ চা চামচ। মশলাগুলো শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে এক চামচ বিটনুন মিশিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন।

গম-১/৪ কাপ গম, অরহর ডাল-১/৪ কাপ, ছোলার ডাল-১/৪ কাপ গম, মুসুর ডাল-১/৪ কাপ, বিউলির ডাল-১/৪ কাপ, মুগ ডাল-১/৪ কাপ, গোবিন্দ ভোগ চাল-১/৪ কাপ সব শস্যগুলো একসঙ্গে শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে ভালো করো গুঁড়ো করে নিন।

তেল-১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি-২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা-১/২ কাপ, টমেটো কুঁচি-আধ কাপ, আদা ও রসুন বাটা-২ চামচ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো-১ চামচ, জিরে গুঁড়ো-১ চামচ, চিকেন-১ কেজি, রসুন কুঁচি-৫ কোয়া, হলুদ গুঁড়ো-১ চামচ

পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে ১ লিটার জল গরম করে নিন। ওই গরম জলে সমস্ত গুঁড়ো করা শস্য দিয়ে দিন। পাত্রটি ঢেকে রেখে ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

অন্য পাত্রে তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি,রসুন কুঁচি দিয়ে দিন। বাদামি হয়ে এলে আলাদা করে তুলে নিন। এর পর ওই তেলেই পেঁয়াজ বাটা, টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন। এর পর আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, নুন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এর পর চিকেনটা দিয়ে কষাতে থাকুন। এর পর ১ চামচ আগে থেকে তৈরি করা হালিমের মশলা দিয়ে দিন। ১৫ মিনিট পর ভিজিয়ে রাখা ডাল-চাল-গমের মিশ্রণটা দিয়ে দিন। এর পর ২ কাপ গরম জল দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে পাত্রের ঢাকনা খুলে নাড়তে থাকুন যাতে পাত্রের নীচে লেগে না যায়। ২০ মিনিট পরই তৈরি হয়ে যাবে হালিম। উপরে বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন বাড়ির তৈরি হালিম যা রেস্তোরাঁকেও টেক্কা দিয়ে দেবে।

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

করোনার বাজারে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে কাঁচা হলুদ স্বাদের আইসক্রিম, চেখে দেখবেন নাকি?

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ইতোমধ্য়েই মিষ্টির বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ইমিউনিটি বুস্টিং সন্দেশ। রসগোল্লা, মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি এই ইমিউনিটি বুস্টিং সন্দেশও হট কেকের মতো বিকোচ্ছে। এবার ইমিউনিটি বাড়াতে বাজারে চলে এল হলদি আইসক্রিমও। বাজারে কাঁচা হলুদ স্বাদের আইসক্রিম আনল আমূল। ট্যুইটারে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের নতুন আইসক্রিমে থাকছে কাঁচা হলুদের স্বাদ। তবে হলুদই একমাত্র উপাদান নয়। আমূলের আইসক্রিমে থাকছে দুধ, মধু, গোলমরিচ, খেজুর, আমন্ড এবং কাজুবাদাম।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাকে দূরে রাখছে চাই ইমিউনিটি। কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে কী করে? এর জন্য বাড়ির পুষ্টিকর খাবার আর গাদাগাদা ভিটামিন ওষুধের অপশন তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি একটু স্বাদ বদলেও ইমিউনিটি বাড়ানোর উপায় খুঁজছেন অনেকে। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যেই আদা, তুলসি, হলুদ ফ্লেভারের প্রোডাক্ট বাজারে এনেছে আমুল। এই ধরনের ইমিউনিটি বাড়ানোর উপদানকে হাতিয়ার করেই করোনার বাজারে বাজিমাত করতে চাইছে সংস্থাটি।

খাবার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিন দিন বাড়ছে। কখনও আমাদের সামনে আসছে ম্যাগি ফুচকা, চকোলেট ম্যাগি, কখনও আবার আসছে নিউটেলা বিরিয়ানি, ওরিও আইসক্রিম সিঙাড়া। বাজারে তো মিলছেই হরেকরকম খাবার। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বাড়িতে বানানো রকমারি খাবারের ছবির ভিড়।
সেই ফিউশন ফুডের তালিকাতেই এবার নতুন সংযোজন আমুলের কাঁচা হলুদ স্বাদের আইসক্রিম। তবে হলুদেই শেষ নয়। এরপর আদা ও তুলসির স্বাদের আইসক্রিমও বাজারে আনতে চলেছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি কেরলের 'ডেয়ারি ডে' নামে একটি সংস্থাও কাঁচা হলুদের স্বাদের আইসক্রিম বাজারে এনেছে। শুধু তাই নয়, সংস্থাটি চবনপ্রাশ আইসক্রিমও এনেছে ক্রেতাদের জন্য। তাদের দু'টি প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছে। পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এই আইসক্রিম স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। এবং এগুলি নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।







সোশ্যাল মিডিয়ায় আমূলের ঘোষণার পর থেকেই হলদি আইসক্রিম নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। ট্যুইটারে একজন মজা করে লিখেছেন, 'এরপর কি করলার আইসক্রিম আসতে চলেছে?' আরেকজন লিখেছেন, 'লকডাউনে মানুষের ক্রিয়েটিভিটির লেভেলই বেড়ে গিয়েছে।' আরেক ট্যুইটার ইউজারের প্রশ্ন, 'আইসক্রিমে হলুদ, গোলমরিচ? একটু নুন মিশিয়ে দিলে হত না?' সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টা-ইয়ার্কির মধ্যেই সকলে অবশ্য একমত। ইমিউনিটি বাড়ুক না বাড়ুক, একবার চেখে দেখতেই হবে আমূলের হলদি আইসক্রিম।

আরও পড়ুন: সন্দেশে কাত করোনা! কলকাতায় ইমিউনিটি বুস্টার মিষ্টির তুমুল চাহিদা

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করন।

বাসন্তী পোলাও-চিকেন ডাকবাংলো! ফ্রেন্ডশিপ ডে'তে এই দুই 'বন্ধুই' আজ হেঁসেল জমাক

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: 'বন্ধুত্ব'... এই শব্দটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সম্পর্কটাই যে খুব দামি। বন্ধুত্বের কোনও বয়স নেই। নেই কোনও লিঙ্গভেদ। বন্ধুত্বের জন্য আলাদা কোনও শর্ত নেই, বিশ্বাসটুকু ছাড়া। যে কোনও সম্পর্কের সঙ্গেই খাওয়া দাওয়ার বেশ একটা আকর্ষণীয় যোগসূত্র রয়েছে। যেমন মধ্যরাতের ম্যাগির সঙ্গে হোস্টেল লাইফের একটা 'বেস্টফ্রেন্ড' মার্কা সম্পর্ক রয়েছে তেমনই খুব বেশি কাঁচালঙ্কা দেওয়া রোলের সঙ্গে 'অফিস-সহকর্মী' এইরকম একটা ফ্লেভার রয়েছে। মাটন কষার যোগ্য সহধর্মিনী যদি বাসন্তী পোলাও হয় তবে চিকেন ডাকবাংলো হল তার অভিন্নহৃদয় বন্ধু। চিকেনের গ্রেভি আর আলুর বন্ধুত্বে 'কাঁচি' করতে সশরীরে উপস্থিত থাকে ডিম। বাংলার হেঁশেলে বেশ কয়েক দশক আগেই নাম কুড়িয়েছে ডাকবাংলো। বাসন্তী পোলাও এর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব কীভাবে জমে উঠল সেই গল্পই থুড়ি রান্নার পদ্ধতি আপনাদের বলবো। নুন, চিনি আর গরম মশলা ঠিক কতটা পরিমাণে দিলে জমে উঠবে এই 'সম্পর্ক', তা শেখালেন শেফ সৌগত ঘোষ

বাসন্তী পোলাও

উপকরণ

গোবিন্দভোগ চাল
গোটা গরমমশলা
ঘি
কাজু
কিসমিস
চিনি
নুন
দুধ
আদা বাটা

যেভাবে বানাবেন
চাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নুন, একচামচ আদাবাটা, হলুদ দিয়ে মেখে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার যতকাপ চাল নিয়েছেন তার দ্বিগুণ মাপের জল নিয়ে ভাত বসান। (২ কাপ চাল নিলে ৪ কাপ জল নিতে হবে)। অন্য একটি প্যানে ঘি গরম করে ওর মধ্যে কাজু, গরম মশলা আর কিশমিশ দিয়ে ভেজে নিন। এবার কাজু, কিশমিশ ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন পুরো রান্না কিন্তু ঢিমে আঁচে হবে। জল ফুটলে চাল দেওয়ার পরই আঁচ কমিয়ে নিন। ভাত ৮০ শতাংশ রান্না হয়ে এলে হাফ কাপ দুধ মেশান। এবার পাঁচ চামচ চিনি দিন। আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। এরপর এক চামচ ঘি ছড়িয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। বাসন্তী পোলাও রান্নার পর সঙ্গে সঙ্গেই খাবেন না। অনন্ত ১৫ মিনিট রেখে তারপর পরিবেশন করুন।

দেখুন রেসিপি ভিডিয়ো


চিকেন ডাকবাংলো

উপকরণ
চিকেন- ১ কেজি
দই
পেঁয়াজ-( মাঝারি মাপের ৪টে)
আদা- ১০ গ্রাম
রসুন- ৬ কোয়া
আলু-৫ টা
টমেটো-২ টো
হলুদ
গরম মশলা
কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো
গোটা গরম মশলা ( গোটা জিরে, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা)
ডিম সেদ্ধ (৪ টে)
কাঁচা লঙ্কা- ৪ থেকে ৫ টা

77314993

যেভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে তিন চামচ দই, ২ চামচ নুন, ২ চামচ কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘন্টা। এবার একটি কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে ওর মধ্যে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুনের কোয়া আর সব গরম মশলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে গ্রাইন্ডারে দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। আলু চার টুকরো করে কেটে নিয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। ডুম সেদ্ধ করে রাখুন। টমেটো চার টুকরো করে কেটে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে আলু আর সেদ্ধ করে রাখা ডিম ভেজে নিন। ওই কড়াইয়ের মধ্যেই প্রথমে পেঁয়াজ দিন। ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে ম্যারিনেট করে রাখা মাংস দিন। টমেটোর টুকরো আর তৈরি করে রাখা মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এরপর আলুর টুকরো, কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো আর ১/৪ চামচ গরম মশলার গুঁড়ো দিন। ভালো ভাবে কষিয়ে নিয়ে জল দিন প্রয়োজন মতো। একদম শেষে সেদ্ধ ডিমগুলি দিয়ে দিন। ১০ মিনিট ফুটতে দিন। ব্যাস রেডি ডাকবাংলো। এই রান্নাটা কিন্তু একদম শুকনো হবে না। গ্রেভি থাকবে।

বানিয়ে কেমন লাগল তা জানান আমাদের কমেন্ট সেকশনে

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

করোনা আবহে সচেতনতা গড়তে কোভিড কারির সঙ্গে মাস্ক নান! চেখে দেখবেন নাকি?

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এমনও হয়। করোনা নিয়ে তীব্র আতঙ্কের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে যোধপুরের একটি রেস্তোরাঁ। যোধপুরের বেদিক মাল্টিক্যুইজিন রেস্তোরাঁয় দেদার বিক্রি হচ্ছে 'কোভিড কারি' সঙ্গে 'মাস্ক নান'৷ মাস্ক নান ছিঁড়ে কোভিড কারিতে ডুবিয়ে সরাসরি মুখে চালান৷



রেস্তোরাঁ এই মেনুর ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। করোনা সচেতনতার জন্য নানা পন্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এই রেস্তোরাঁ মানুষের প্রতি সচেতনতা গড়তে নিজেদের মেনুতে পরিবর্তন এনেছে। যার নাম কোভিড কারি ও মাস্ক নান। এই বিষয়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে চান তাঁরা। তিনি আরও বলেন সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে যাতে গ্রাহকরা সুরক্ষিত ভাবে স্বাদ বদল করতে পারেন। 'কোভিড কারি' আসলে মালাই কোফতা৷ কোফতাকে সুন্দর করে করোনা ভাইরাসের মতো আকার দেওয়া হয়েছে৷ আর নানকে আকার দেওয়া হয়েছে মাস্কের৷ যাকে সোজা ভাষায় বলা যায় মালাই কোফতা আর নান৷ রেস্তোরাঁর তরফ থেকে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সর্বদা স্যানিটাইজেশন চলছে। রেস্তারাঁ কতৃপক্ষ জানিয়েছে, 'আমরা টাচ-লেস মেনু চালু করেছি৷ যাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখা যায়'৷

আরও পড়ুন: সন্দেশে কাত করোনা! কলকাতায় ইমিউনিটি বুস্টার মিষ্টির তুমুল চাহিদা

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্য়েই মিষ্টির বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ইমিউনিটি বুস্টিং সন্দেশ। রসগোল্লা, মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি এই ইমিউনিটি বুস্টিং সন্দেশও হট কেকের মতো বিকোচ্ছে। করোনাকালে চমৎকার এক সন্দেশ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন বিক্রেতা 'বলরাম মল্লিক'। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে বলে এই সন্দেশের নাম দেওয়া হয় 'ইমিউনিটি সন্দেশ'। শুধু তাই নয় কলকাতার এই প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে তৈরি করা হয়েছে মিষ্টির সিরিজ। যেমন-সঞ্জীবনী সিরিজ',ইমিউনিটি সন্দেশ, পেইনকিলার সন্দেশ, ভাইটিলিটি সন্দেশও। খাবার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়ছে দিন দিন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বাড়িতে বানানো রকমারি খাবারের ছবির ভিড়। সেই ফিউশন ফুডের তালিকাতেই এবার নতুন সংযোজন।

লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক সংখ্যা নিরিখে গত কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ হাজারের উপরে থাকছে। সোমবার নতুন করে দেশে ৫২,৯৭২ জনের শরীরে করানা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১৮ লাখ। মৃত্যু হয়েছে আরও ৭৭১ জনের।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

ভাইয়ের পাতে পড়ুক দিদির সেরা রান্না, চিংড়ি বিরিয়ানি!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার কারণে লকডাউন। করোনা অতিমারীর মধ্যে এবার লকডাউনে বাড়িতেই হবে রাখি উদযাপন। বোনকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পছন্দের উপহার কিনে দেওয়াও এবার সম্ভব নয়। এই বছর বাড়িতেই চলবে খাওয়া-দাওয়া। বাঙালি যে ভোজনপ্রিয় এ কথাটা সবারই জানা। তার উপর আবার উৎসব মরশুম পেলে তো কথাই নেই! রাখিতে ভাই বা বোনের পছন্দের খাবার সাজিয়ে দাও, দেখবে সে সারা বছরের ঝগড়াঝাঁটি ভুলে যাবে! আর সেখানে বিরিয়ানি হলে তো কথাই নেই।

প্রথমদিকে বাঙালির কাছে অতটা জনপ্রিয়তা ছিল না বিরিয়ানির। পরে আস্তে আস্তে বিশেষ করে বাঙালিদের পছন্দের জায়গা হয়ে ওঠে এই বিরিয়ানি। অনেকেই আছেন রাস্তার ধারে লাল কাপড়ে মোড়া বড় হাড়ি দেখলেই যেন খিদেটা দ্বিগুণ বেড়ে ওঠে। তবে, কলকাতা শহরে বিরিয়ানি জয়েন্টের অভাব নেই। কিন্তু বাড়িতে বিরিয়ানি রান্নার কথা উঠলেই গায়ে জ্বর আসে অনেকের। এই বছর ভাই বা বোনের জন্য তৈরি করে ফেলুন চিংড়ি বিরিয়ানি। রইল রেসিপি।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে সচেতনতা গড়তে কোভিড কারির সঙ্গে মাস্ক নান! চেখে দেখবেন নাকি?

উপকরণ

বাসমতী চাল-২ কাপ,বাগদা চিংড়ি-দেড় কেজি, পেঁয়াজ-২টো মাঝারি (স্লাইস করে সোনালি করে ভেজে নিন), কাঁচা লঙ্কা কুঁচি-৪টে, রসুন থেঁতো করা- ৪ কোয়া, আদা থেঁতো করা-১ ইঞ্চি,গুঁড়ো হলুদ-১ চা চামচ, গুঁড়ো লঙ্কা- ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো-দেড় চা চামচ, ধনে গুঁড়ো-দেড় চা চামচ, বিরিয়ানি মশলা-২ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো-১ চা চামচ, গোলাপ জল-১ চা চামচ, কেওড়া জল- ১/৪ চা চামচ, ধনেপাতা কুঁচি,পুদিনা পাতা কুঁচি,ঘি-৪ চা চামচ, ঘন দই- ১/৪ কাপ, লেবুর রস-১টা লেবুর, কেশর-৬-৮টা স্ট্র্যান্ড,
গরম দুধ-২ টেবিল চামচ, শা জিরে- ১ চা চামচ, দারচিনি স্টিক- ২টো মাঝারি, ছোট এলাচ-৩টে, লবঙ্গ-৩টে, তেজপাতা-২-৩টে,কাঁচা লঙ্কা-৮-১০টা (চেরা), নুন-স্বাদ মতো।

বিরিয়ানি মশলার জন্য
দারচিনি-১টা স্টিক, ছোট এলাচ-৩টে, লবঙ্গ-৩টে, তেজপাতা-২টো, গোটা গোলমরিচ-৮-১০টা,
স্টার আনিজ-১টা, বড় এলাচ-১টা, জয়িত্রী-১টা,জায়ফল- ১/৪টে, গোটা জিরে-১ চা চামচ,গোটা ধনে-১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা-২টো। সব গোটা মশলা শুকনো খোলায় মাঝারি আঁচে ভেজে নিন যতক্ষণ না সুগন্ধ বেরোচ্ছে। গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। এয়ারটাইট কন্টেনারে এই গুঁড়ো মশলা ভরে রেখে দিন। যাতে সময় মতো ব্যবহার করতে পারেন।

চিংড়ি ম্যারিনেশন: চিংড়ি মাছ ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে শিরা ফেলে পরিষ্কার করে নিন। একটা বড় বাটিতে দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন।গুঁড়ো হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, ১ চা চামচ বিরিয়ানি মশলা, লেবুর রস, নুন ও ১ টেবল চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। সোনালি করে ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেকটা মিশিয়ে দিন। ধনেপাতা ও পুদিনাপতা কুঁচির অর্ধেকটা করে মিশিয়ে দিন। দইয়ের মিশ্রণ দিয়ে চিংড়ি মাছ ম্যারিনেড করে রেখে দিন তিরিশ মিনিট।

পদ্ধতি
বাসমতী চাল পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে তিরিশ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৬ কাপ জল দিয়ে চাল সিদ্ধ হতে দিন। এর মধ্যে সামান্য নুন, ১ চা চামচ সা জিরা, ১টা দারচিনি, ৩টে ছোট এলাচ, ৩টে লবঙ্গ ও ১টা তেজপাতা দিন। জল ফুটতে শুরু করলে, তারপর ৪-৫ মিনিট ফুটিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। চাল এই সময়ের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সিদ্ধ হয়ে যাবে। এর পর জল ঝরিয়ে রাখুন।

গরম দুধের মধ্যে কেশর মিশিয়ে রেখে দিন। যে পাত্রে বিরিয়ানি তৈরি করবেন সেই পাত্রে ভাল করে ঘি মাখিয়ে নিন। প্রথমে ম্যারিনেড করা চিংড়ি রেখে তার উপর চাল রাখুন। এর উপর এক চা চামচ বিরিয়ানি মশলা ছড়িয়ে তার উপর ঘি ছড়িয়ে দিন। এ বার উপরে গোলাপ জল, কেওড়া জল ও কেশর মেশানো দুধ ঢেলে দিন। সব শেষে উপরে সোনালি করে ভাজা পেঁয়াজ, বাকি ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ছড়িয়ে, কাঁচা লঙ্কা চেরা দিন। পাত্রের ঢাকনা বন্ধ করে আটা মাখা বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুখ সিল করে দিন। এর পর আঁচের উপর তাওয়া বসান। গরম তাওয়ার উপর বিরিয়ানির পাত্র রেখে দমে ২০ মিনিট রান্না করুন। ২০ মিনিট পর আঁচ বন্ধ করে গরম তাওয়ার উপর আরও ১০ মিনিট রাখুন। তৈরি হয়ে যাবে চিংড়ি বিরিয়ানি।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

বৃষ্টিশেষে রসেবসে আমিষে আনারসে

$
0
0

বর্ষার জনপ্রিয় ফল আনারস এখন ডেজার্টের পাশাপাশি চলে আসে বহু আমিষ পদের অনুষঙ্গে। লিখলেন সুরবেক বিশ্বাস

চমকে উঠেছিলেন কুলদীপ নায়ার। খাবার ভর্তি ট্রলি-র দিকে তাকিয়ে প্রখ্যাত ওই সাংবাদিক দেখলেন, সেখানে রয়েছে তাঁর প্রিয়তম ডেজার্টও! সাড়ে তিন দশক আগের কথা। ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পরমাণু বিজ্ঞানী, পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক বলে পরিচিত, আব্দুল কাদির খানের বাংলোয় গিয়েছেন কুলদীপ। সেই সান্ধ্য আলাপচারিতায় বিজ্ঞানীর স্ত্রী তাঁদের ভারতীয় অতিথির সামনে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে আনলেন কুলদীপের প্রিয়তম বস্তুটি। আপসাইড-ডাউন পাইন্যাপল পুডিং!

আনারসের তৈরি মারকাটারি ডেজার্টগুলোর অন্যতম এই পুডিং। আপসাইড-ডাউন অর্থাৎ পুডিং পাকানোর সময়ে পাইন্যাপল রাখা হবে নীচে বা বেসে, তার পর তৈরি হয়ে গেলে পরিবেশনের সময়ে উল্টে দেওয়া হবে।

পুডিং, পেস্ট্রি, কেক, টার্ট, পাই, আইসক্রিম, সন্দেশ--- পাইন্যাপল দিয়ে যে কত রকম ডেজার্ট বা মিষ্টি হতে পারে, তার ইয়ত্তা নেই।চাটনি-আচার-জ্যাম-স্কোয়াশ-সিরাপ তো আছেই। আনারস সুস্বাদু-রসালো-মিষ্টি ফল বলে কথা!

কিন্তু তারা আর কত টুকুই বা জানে, যারা শুধু আনারসের এই দিকটা জানে!

বহু আমিষ পদের অনিবার্য অনুষঙ্গে চলে আসে আনারস। সেটা প্রথম মালুম হয়েছিল প্রায় দু'যুগ আগে বালিগঞ্জ কোয়ালাটি রেস্তোরাঁয় চিকেন স্টেক সিজলার খেতে গিয়ে। সেখানকার ওই পদ তখন তর্কসাপেক্ষে কলকাতার সর্বোৎকৃষ্ট। ক্রমশ গভীরে ঢুকে দেখি, মুরগির টুকরো শোওয়ানো আছে গোল করে কাটা বড় এক টুকরো আনারসের বিছানায়। সিজলার প্লেটে দেওয়ার ফলে সেটি ঈষৎ পুড়ে স্বাদ আরও খোলতাই হয়েছে। আনারসের টুকরোটি স্টেকেরই অঙ্গ। কারণ, প্রাণিজ প্রোটিনকে হজম করাতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা পেঁপের চেয়েও আনারস এখানে এগিয়ে।

আনারস মূলত বর্ষার ফল। বর্ষা মানে খিচুড়ি-ইলিশ-তেলেভাজার সঙ্গে আনারসও। এই বাংলায় আনারস অত্যন্ত সুলভ।

যে কারণে 'একডালিয়া রোড' রেস্তোরাঁ চেনের কর্ণধার ও এগজিকিউটিভ শেফ সুরজিৎ রাউত বলছেন, 'মাংসকে নরম করতে পেঁপে বাটা বা পেঁপের রস মাখানোটা দস্তুর। কিন্তু বর্ষায় আমরা মাংস নরম করতে তা মাখাই আনারসের রসে। দ্রুত নরম হয়, স্বাদও হয় জম্পেশ।' 'সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস' ও 'দ্য ওয়াল'-এর অন্যতম কর্ণধার, এগজিকিউটিভ শেফ সুশান্ত সেনগুপ্তর কথায়, 'মিট টেন্ডারাইজার হিসেবে তো বটেই, বিভিন্ন কারি বা গ্রেভিতে একটু আধপাকা আনারস ব্যালান্সিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। নোনতার সঙ্গে আনারসের টক-মিষ্টি ভাবটা স্বাদে অন্য মাত্রা এনে দেয়।' সুশান্তর বক্তব্য, 'থাইল্যান্ড-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‌বিভিন্ন দেশে আনারস খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় বলে সে সব জায়গায় বহু মেন কোর্সে আনারসের আকছার ব্যবহার। থাই পাইন্যাপল ফ্রায়েড রাইস তো খুবই জনপ্রিয় পদ।'

আবার বহু ভোজন রসিক ও সমঝদার মাংস বা মুরগির বার-বি-কিউ-তে ক্যাপসিকাম-পেঁয়াজ-টোম্যাটোর টুকরোর সঙ্গে ঝলসানো আনারসের টুকরোও পছন্দ করেন।

বাঙালি রান্নায় আনারসি ইলিশ বর্ষার এক মহার্ঘ ডেলিকেসি। তাতে শুধু সর্ষে বাটা ‌নয়, পেঁয়াজ-রসুন বাটা এবং জিরে-ধনে-শুকনো লঙ্কার গুঁড়োও পড়বে আনারস কুচির সঙ্গে। তবে এ পার বাংলায় ইলিশে পেঁয়াজ-রসুন পড়া মানে তার পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতা নষ্ট। ফলে, ও পার বাংলায় আনারসি ইলিশ যতটা জনপ্রিয়, এখানে ততটা নয়।

কনটিনেন্টাল-চিনা-থাই ক্যুজিনে অবশ্য এই বর্ষার কলকাতায় আনারসের রসলীলা পুরোদস্তুর অব্যাহত। শরৎ ব্যানার্জি রোডের চিনা রেস্তোরাঁ 'দ্য ওয়াল'-এর উইকএন্ড 'পাইন্যাপল স্পেশ্যাল' মেনুতে থাকছে প্রন পাইন্যাপল ফ্রায়েড রাইস, থাই পাইন্যাপল পর্ক কারি, কারি প্রন্‌স উইথ পাইন্যাপল ও মালয়েশিয়ান পাইন্যাপল পর্ক কারি। আবার কন্টিনেন্টাল খাবারের ঠেক 'একডালিয়া রোড পাটুলি' বুধবারই শুরু করেছে 'পাইন্যাপল ফেস্টিভ্যাল'। যেখানে রয়েছে ক্রাঞ্চি পাইন্যাপল স্যালাড, চিকেন ও অলিভের সঙ্গে পাইন্যাপল দিয়ে তৈরি হাওয়াইয়ান মিক্সড চিকেন পিৎজা, বেবি চিকেন উইথ পাইন্যাপল সস উইথ রোস্টেড পাইন্যাপল অ্যান্ড হার্ব রাইস।

পিছিয়ে নেই মহিলা পরিচালিত কয়েকটি 'ক্লাউড কিচেন', যেখানে সাদামাঠা ঘরোয়া বাঙালি আইটেম বাদ দিয়ে সৃষ্টি হয় বিশেষ ধরনের দেশি-বিদেশি আহার্য। গড়িয়ার 'মিতুল্‌স কিচেনে' বর্ষা স্পেশ্যাল পাইন্যাপল চিকেন। আর নাগেরবাজারের 'মুখার্জিস কিচেন'-এর 'মনসুন স্পেশ্যালে' আপসাইড-ডাউন পাইন্যাপল পুডিং!

কুলদীপ নায়ারের প্রিয়তম সেই ডেজার্ট!

ঠাকুরবাড়ির হেঁশেল থেকে রবি ঠাকুরের প্রিয় ছানার চপ

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: বাঙালি সুখে-দুঃখে বারবার ফিরে যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছেই। আজ বাইশে শ্রাবণ। কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস। বিশ্বজুড়ে যখন কভিড-১৯-এর মহামারি চলছে, তখনো প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্রনাথ। জীবদ্দশায় তিনি প্লেগ, ম্যালেরিয়া প্রভৃতির বীভৎস রূপ দেখেছেন। প্লেগ সচেতনতায় রাস্তায় নেমেছিলেন। যুক্ত হয়েছিলেন হাসপাতাল নির্মাণকাজে। সাহিত্য ও শিল্প জগত ছাড়াও বিশ্বকবির আরও একটি বিশেষ আগ্রহের জায়গা ছিল। সেটি হল খাবার। রবীন্দ্র অনুরাগীরা জানবেন, তিনি কতটা খাদ্যরসিক ছিলেন। আর কবিপত্নী মৃণালিনী দেবীও ছিলেন রান্নায় দক্ষ। তাই রসনা তৃপ্তিতে কখনও ঘাটতি হয়নি কবিগুরুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। আর সেই খাবারের পদ অধিকাংশ সময়ই তিনি ঠিক করে দিতেন। তাতেও থাকত বিশেষত্ব।

শুধু তাই নয় সকলকে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। তাঁর বাড়িতে এসে শুকনো মুখে কেউ কোনওদিন ফিরে যাননি। তাইতো রাঁর বর্ণনাতেও ফিরে আসে খাবারের বর্ণনা। আম খেতে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। আর ভালোবাসতেন শরবত। তবে শেষ পাতে বাড়ির বানানো মিষ্টি ছিল বাঁধাধরা। দইয়ের মালপো আর চিঁড়ের মালপোয়া তাঁর প্রিয় ছিল। ছিল ছানার চপও। দেখে নিন সেই রেসিপি।

ভিডিয়োটি দেখতে ক্লিক করুন...

উপকরণ
দুধ-২ লিটার, ভিনিগার-৪ চা চামচ, গরম মশলা-১ চা চামচ, নুন, কাঁচালঙ্কা কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি-২টো বড় পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুঁচি, সাদা তেল-২ চা চামচ

পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ নিন। দুধ ফুটে গেলে তাতে ৪ চা চামচ ভিনিগার ও ৪ চা চামচ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। সেটি ওই ফুটন্ত দুধে মিশিয়ে দিন। দুধ কেটে ছানা তৈরি করে নিন। ছানা থেকে পুরো জল ঝাড়িয়ে শুকনো করে নিন। এবার ওই ছানার সঙ্গে একে একে সমস্ত উপকরণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানোর পর গোল গোল চপের আকারে গড়ে নিন।

কড়াইতে ২ চা চামচ সাদা তেল দিয়ে একে একে গড়ে রাখা ছানার চপ দিয়ে দিন। চপের একদিকটা হয়ে গেলে অন্যদিকটাও ভেজে নিন। তবে সাবধানে উলটে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভেঙে না যায়। দুটো দিক লাল হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ছানার চপ।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন


লকডাউনে এ বার 'নবাবি খানা' দেবে আউধ ১৫৯০!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে চলতি অগস্ট মাসে প্রতি সপ্তাহে দু'দিন করে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা অনুসারে ৮ অগস্ট, ২০ অগস্ট, ২১ অগস্ট, ২৭ অগস্ট, ২৮ অগস্ট এবং ৩১ অগস্ট রাজ্যজুড়ে চলবে সম্পূর্ণ লকডাউন। আর এই পরিস্থতিতেই আপনার বাড়ির দরজার সামনে মোগলাই খানা পৌঁছে দেবে আউধ ১৫৯০। অধিকাংশ বাঙালি পছন্দ করেন বিরিয়ানি খেতে। অন্যান্য দিন খোলা তো থাকবেই। তবে, লকডাউনে জাফরানি খুশবুর ম-ম করা গন্ধ বেরোবে আপনার খাবার ঘর থেকে।

বিরিয়ানি যাঁদের প্রিয়, তাঁরা বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন বিরিয়ানির স্বাদ। তবে, কেবলমাত্র বিরিয়ানি নয়, পাবেন নানান স্বাদের কাবাবও। যেমন-জাফরানি কাবাব, শাহি টাংরি কাবাব, গলৌটি কাবাব-সহ বিভিন্ন স্বাদের কাবাব। মেইন কোর্সে পাবেন রান বিরিয়ানি, গোস্ত ভুনা, গোস্ত শাহি কোর্মা, নিহাড়ি খাস, ঝিংগা মোতি বিরিয়ানি, সুব্জ সুগন্ধী কোফ্তা বিরিয়ানি ও সুব্জ ইয়াখনি বিরিয়ানি, পনির রেজালা-সহ বিভিন্ন আইটেম। শেষ পাতে 'মু মিঠা'-র জন্য ফিরনি বা গাজরের হালুয়া।

এই সব পেয়ে যাবেনদেশপ্রিয় পার্ক, সার্দান অ্যাভিনিউ ও সল্টলেক-- কলকাতায় আউধ ১৫৯০ লকডাউনের দিনগুলিতে হাজির হয়ে যাবে কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায়। দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত অর্ডার বুক করা যাবে। দু'জনের জন্য খরচ পড়বে এক হাজার টাকা সঙ্গে ট্যাক্স।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

শনিবারের স্বাদবদল: হেঁশেলে লেবানিজ অনুপ্রবেশ, বাড়িতেই বানান শওয়ার্মা রোল

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: উইকএন্ড মানেই পেট পুরে জম্পেশ খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু লকডাউনের জেরে সবই বন্ধ। কিন্তু তাতে কী! বাড়িতে থাকা এমন কিছু জিনিস দিয়ে সহজেই করে নেওয়া যেতে পারে বিশেষ রেসিপি। চিকেন খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। প্রায় সকলের বাড়িতেই চিকেন রাখা থাকে ফ্রিজে। চিকেন খেতে যেমন সুস্বাদু এটি ত্বক ও শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর। মুরগির মাংস ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। ফলে এক বাটি চিকেন স্যুপ স্বস্তি এনে দিতে পারে। বিষণ্নবোধ হলে কয়েকটি চিকেন উইংস খাওয়া যেতে পারে। যা মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

বয়স্কদের আর্থ্রাইটিস ও হাড় সংক্রান্ত অন্য রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। প্রতিদিন মুরগির মাংস খাবার তালিকায় রাখলে এর প্রোটিন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করবে। দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া ফসফরাস কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনাদের জন্য রইল চিকেন শওয়ার্মা রোল।

ভিডিয়োটি দেখতে ক্লিক করুন

চিকেন শওয়ার্মা রোল
ময়দা- ২ কাপ, নুন, বেকিং পাউডার-১/২ চামচ, সাদা তেল-৩ চামচ, টক দই- ১/২ কাপ, উষ্ণ গরম দুধ-১/২ কাপ, বোনলেস চিকেন-৩৫০ গ্রাম, ভনিগার-১ চা চামচ, সয়া সস-১ চা চামচ, রেড চিলি সস-১ চা চামচ, আদা বাটা-১ চা চামচ, টক দই-১ চা চামচ চিকেন ম্যারিনেটের জন্য, শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো,জিরে গুঁড়ো-১ চা চামচ, কাটা সবজি, গোলমরিচ গুঁড়ো-১ চা চামচ, মেয়োনিজ, রসন বাটা-১ চা চামচ

পদ্ধতি- প্রথমে টক দই দিয়ে ময়দাটা ভালো করে মেখে নিন। বেশি শক্ত করে মাখবেন না। ময়দার ডো যেন নরম থাকে। এর পর সেটি ৩০ মিনিট রেখে দিন। এর পর ওই চিকেনটায় ভিনিগার,সয়া সস, চিলি সস, রসুন বাটা, টক দই, শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে নিন। এর পর ২ কাপ জলে সামান্য নুন দিয়ে কাটা সবজি সেদ্ধ করে নিন।

এর পর একটা পাত্রে সাদা তেল দিন। তেল গরম হয়ে গেলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে দিন। নুন দিন স্বাদ মতো। এর পর হালকা আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকেন সিদ্ধ হচ্ছে। এর পর ময়দা থেকে লেচি তৈরি করে নিন। সামান্য ময়দা দিয়ে গোল করে বেলে নিন। গরম তাওয়ায় ফেলে ভালো করে শেঁকে নিন। এর পর ওর মধ্যে ভালো করে মেয়োনিজ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এর পর ওই রুটির মধ্যে সবজি সিদ্ধ ও চিকেনের টুকরো দিয়ে দিন রোল তৈরি করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিকেন শওয়ার্মা রোল।


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

উইকএন্ডে স্বাদবদল: আনারসের স্বাদে ফিউশন এবার ভাতে

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: এই লকডাউনে প্রত্যেকেরই রান্নাঘর হয়ে উঠেছে ছোট খাটো পরীক্ষাগার। তার উপর করোনার সঙ্গে লড়াই করতে সবাই ইমিউনিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। হলুদ দুধ, গোলমরিচ-তেজপাতার জল বাকি থাকছে না কিছুই। এদিকে বাইরে বেরনো এবং বাইরের খাবার সবই বন্ধ। কিন্তু বেঁচে থাকতে ভালোমন্দ তো খেতেই হবে। তাই আজ থাকল আনারস আর ভাতের ফিউশন একটি রেসিপি। সৌজন্যে শেফ ছন্দদীপা দত্ত। তার আগে একবার চটকরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক আনারসের উপকারিতার দিকে।

  • আনারসে ব্রোমেলাইন নামক একপ্রকার এনজাইম রয়েছে যা প্রোটিনের হজমে সহায়তা করে
  • শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অ্যামিনো অ্যাসিডকে কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে দেয়।
  • আনারস এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যও সুপরিচিত যা গলা ব্যথা নিরাময়ে সহায়তা করে।
  • এছাড়াও যাঁদের সর্দি-কাশি প্রায়শই লেগে থাকে তাঁদের জন্যও আনারস খুব ভালো।
  • সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে আনারস।

বাজারে এখনও পর্যন্ত সহজলভ্য এই ফল। কোনও দিন যদি ভাত বেশি থাকে তাই দিয়েও বানাতে পারে এই রেসিপিটি। সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট।

যা যা লাগছে
রান্না করা ভাত ( একটু নরম হলেই ভাল)- দেড় কাপ
আনারসের টুকরো- হাফ কাপ
কর্নফ্লাওয়ার- হাফ চামচ
নুন- স্বাদমতো
চেরি টমেটো- ২ থেকে ৪টে
রসুন কুচি- হাফ চামচ
পার্সলে পাতা কুচি- ১ চামচ
মাখন- ১ চামচ
ধনে পাতা- হাফ কাপ

আরও দেখুন রেসিপি ভিডিয়ো

বাসন্তী পোলাও-চিকেন ডাকবাংলো! ফ্রেন্ডশিপ ডে'তে এই দুই 'বন্ধুই' আজ হেঁসেল জমাক
বাইরের খাবার থাক না, বরং বাড়িতেই হোক ডাব চিংড়ি! সহজ রেসিপি আপনাদের জন্যে...

রান্নার পদ্ধতি
মিডিয়াম ফ্লেমে ফ্রাইং প্যান বসিয়ে মাখন গরম করুন। এবার ওর মধ্যে রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। এবার কেটে রাখা আনারসের টুকরো গুলো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ক্যারামেলাইজড হয়। এবার জল দিন হাফ কাপ। স্বাদমতো নুন দিয়ে মিনিট পাঁচেক সেদ্ধ হতে সময় দিন। এবার ভাত আর পার্সলে পাতা মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। কনফ্লাওয়ার হাফ কাপ জলে মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে মেশান, যতক্ষণ না পুরো ব্যাপারটা আঠালো না হচ্ছে ততক্ষণ একদম আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। ঠান্ডা হলে চেরি টমেটো আর ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। রাইস বোল বা আনারসের ভিতর পুরে পরিবেশন করতে পারেন।

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

মাছের রাজা ইলিশ আর আপনার হাতের জাদু! জিরে দিয়ে হালকা ঝোল, আজ হয়ে যাক?

$
0
0

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: গদি দখলের লড়াই তো সেই কবে থেকেই চলছে। আর সেই লড়াইয়ে ইলিশ আর চিংড়ি কেউ কাউকে একইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয়। ডাবের খোলায় সুন্দর করে সেজে চিংড়ি যদি রাজসভায় হাজির হয়, ইলিশও কিন্তু সরষের তেলের সুগন্ধী ছড়িয়ে সেই আসরের মধ্যমণি হয়ে বসে পড়ে। ফলে ভোটে জিতে রাজ্যশাসনের ভার ইলিশ পেলেও চিংড়ি কিন্তু পিছু হঠতে রাজি নয়। পোলাও থেকে ঝোল বাংলার হেঁশেলের গৃহিনীদের মান বাঁচিয়েছে দুজনেই।
তবে মাছের রাজা ইলিশ, আর খেলাতে ফুটবল... না, আজ আর ফুটবল নয়, বরং আপনার হাতের জাদুই মিশে যাক মাছের রাজার লালন-পালনে। বাকি সব গুরুগম্ভীর আলোচনা আজকের জন্যে মুলতুবি থাক। আপনি বরং পরিবারের সবার মুখে আর জিভে ঝড় তুলতে বেছে নিন জিরে বাটা দিয়ে জলের রূপোলি শস্যের হালকা ঝোল। সেই সঙ্গে থাকলো খুব সুন্দর একটি ভিডিয়ো। রান্না তো শিখবেনই, তার সঙ্গে বাংলার একটা গন্ধও পাবেন। ইলিশের রেসিপি ভিডিয়ো সৌজন্যে- শেফ সৌগত ঘোষ


যা যা লাগছে
ইলিশ মাছ- ৫ টুকরো
জিরে গুঁড়ো- ২ চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১.৫ চামচ
সরষের তেল-১০০ মিলি
কাঁচা লঙ্কা চেরা-৫ থেকে ৬টা
নুন-২ চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো- সামান্যই

দেখুন রেসিপি ভিডিয়ো


যে ভাবে বানাবেন
মাছ ভালো করে ধুয়ে জিরে গুঁড়ো, হলুদ, নুন, কাঁচা লঙ্কা, সরষের তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে মাছ আর ওই মিশ্রণ দিয়ে দিন। পুরো রান্না কিন্তু মিডিয়াম ফ্লেমে হবে। এবার সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। ঢাকা খুলে এক কাপ গরম জল দিন। আবার ঢেকে রেখে ৮ মিনিট মতো রান্না করুন। ব্যাস রেডি ইলিশ মাছের জিরে দিয়ে ঝোল। ইলিশ মাছের এই রান্না করতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।
এই রেসিপি বানিয়ে কেমন লাগল তা আমাদের অবশ্যই জানান। এছাড়াও কেমন রেসিপি আপনাদের পছন্দ তাও জানান আমাদের কমেন্ট সেকশনে।

দেখে নিন মাছের আরও কয়েকটি সহজ ভিডিয়ো রেসিপি

রবিবারের দুপুরে পাবদার তেল ঝাল হলে কেমন হয়? রইল রেসিপি, আজই বানান বাড়িতে...
খেতে অনবদ্য, কিন্তু বানাবেন কীভাবে? আজ রইল লোটে মাছের ঝুরির রেসিপি!
বাইরের খাবার থাক না, বরং বাড়িতেই হোক ডাব চিংড়ি! সহজ রেসিপি আপনাদের জন্যে...

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে




গোপালের জন্মদিন কি আর ঘি-কাজু-কিসমিস দেওয়া সুস্বাদু মোহন ভোগ ছাড়া জমে? শিখে নিন রেসিপি...

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পুরাণ মতে, শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসাবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। বিশ্বে যখনই হিংসা, নিষ্ঠুরতা ও খারাপ কাজকর্ম বেড়ে যায় ভগবান বিষ্ণু তখনই মানব অবতারে পৃথিবীতে এসে তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন। মথুরায় দেবকি ও বাসুদেবের সন্তানরূপে জন্মগ্রহণ করে কৃষ্ণ।

ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার আয়োজন৷ যে সব বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন হয় সেখানে মহা সমারোহে প্রসাদ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাড়ির সদস্যরা। তালের বড়া, মাখন, মিছর-ছোট্ট গোপাল খেতে খুবই ভালবাসে৷ আর তাঁর পছন্দমতো খাবারগুলো ছাপান্ন ভোগের মধ্যে অন্যতম এই ভোগ। ছোট্ট কৃষ্ণকে মাখন চোর নামে ডাকা হত। একবার কৃষ্ণ নিজের ছোট্ট আঙ্গুলে করে গোবর্ধন পর্বত তুলে গ্রামবাসীকে রক্ষা করেছিল। পুরাণ অনুযায়ী তারপর থেকেই কৃষ্ণের জন্মতিথিতে ছাপ্পান্ন ভোগ বা প্রসাদ নিবেদনের রীতি প্রচলিত হয়েছে। আর তার মধ্যেই অন্যতম হল মোহনভোগ।

আরও পড়ুন: মাছের রাজা ইলিশ আর আপনার হাতের জাদু! জিরে দিয়ে হালকা ঝোল, আজ হয়ে যাক?


জন্মাষ্টমীর দিন মথুরা, গোকুলের সমস্ত খাবারেই পাওয়া যায় মাখনের ছোঁয়া। আর গোপালের পাতে কাজু, কিসমিস, ঘি সমৃদ্ধ সেই মোহন ভোগ গোপালের পাতে না দিলে সম্পূর্ণ হয় না জন্মাষ্টমী। ভারতীয় মিষ্টির মধ্যে উত্তর ভারতের মোহনভোগ অন্যতম। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের ছাপ্পান্ন ভোগে এই মিষ্টি অবশ্যই দেওয়া হয়। বাঙালিরাও এই মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন। বাংলায় এই মিষ্টি সুজি বা হালুয়া নামে বিখ্যাত। শিখে নিন গোপালের প্রিয় মোহন ভোগের রেসিপি।

উপকরণ
সুজি-১ কাপ, চিনি-১/২ কাপ, দুধ-১ কাপ, ঘি-১/২ কাপ, কিসমিস-২ টেবিল চামচ, তেজপাতা-২টো, এলাচ-২টো, কাজু-২ টেবিল চামচ

পদ্ধতি
কড়াইতে ঘি গরম করুন। এর পর সুজি বাদামি করে ভেজে নিন। এর মধ্যে বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন। দুধ পুরোপুরি টেনে না আসা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এর পর দেখবেন একদম শুকনো হয়ে গিয়েছে। কড়াই থেকে ঘি ছাড়তে শুরু করলে নামিয়ে নিন। গরম গরমও পরিবেশন করতে পারেন আবার ঠান্ডা করে নিয়েও দিতে পারেন।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

Viewing all 1736 articles
Browse latest View live