খাবারের অবশ্য তাঁর পছন্দ ছিল সাধারণ। রসগোল্লা, চমচম, পিঠেপুলি এবং সন্দেশের মতো মিষ্টি পছন্দ করতেন। বেশিরভাগ সময় চা এবং লেবুর শরবত খেতে ভালোবাসতেন। আর ছিল চা, দিনে বিশ থেকে তিরিশ কাপ চা ছিল সুভাষের স্বাভাবিক কোটা। সিঙ্গাপুরে গিয়ে কফির প্রতি আসক্তি হয়। নারকেলে দিয়ে তৈরি চিনির পুলি, মনোহরা, নারকেল নাড়ু, রসকরা, ছাতুর বার্ফি, মুরির নাড়ু, মোয়া, তিলের নাড়ু এবং তিলের চাকতি ছিল তাঁর বেশ পছন্দের। আজ তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাতে রইল তাঁরই পছন্দের মনোহরা রেসিপি।
মনোহরা বাংলার বিখ্যাত মিষ্টি। মন হরণ করে বলে এর নাম মনোহরা। মনোহরা না পুরোপুরি রসগোল্লা জাতীয় রসের মিষ্টি, না পুরোপুরি সন্দেশ গোত্রীয়৷ যাঁরা খেয়েছেন তাঁরা জানেন, দুধ-চিনির চাদরে মোড়া মনোহরা কেন বাঙালির মন হরণ করে৷
উপকরণ
ছানা- ৫০০ গ্রাম।
চিনি- ৫০ গ্রাম।
ছোটএলাচ
দুধ
পদ্ধতি
স্টেপ ১
ছানা ও চিনির সঙ্গে ছোটএলাচ মিশিয়ে ভালো করে আগুনে জ্বালে পাক দিতে হবে৷
স্টেপ ২
মিশ্রণটা গাঢ় হয়ে মাখা সন্দেশের মতো হয়ে এলে আগুন থেকে নামিয়ে রাখতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন দানা ভাব থাকে এই পাক দেওয়ার সময়৷
স্টেপ ৩
মিশ্রণ ঠান্ডা হলে মণ্ড তৈরি করে তালুতে রেখে গোল করে পাকাতে হবে৷
স্টেপ ৪
চিনি ও দুধ ফুটিয়ে ঘন করে তৈরি গরম মিশ্রণে একটা একটা করে সন্দেশ ডুবিয়েই তা তুলে নিয়ে রাখতে হবে কলাপাতার উপরে৷ মিনিট চারেকের মধ্যে তা শুকিয়ে যাবে৷ ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যাবে সেই আস্তরণ৷
হাওয়া-বাতাস লাগে না বলে ব্যাকটিরিয়া ঢুকতে পারে না সহজে৷ তাই বেশ তিন থেকে পাঁচ দিন রেখে এই মিষ্টি খাওয়া যায়৷ ডিমের খোসার চেয়ে একটু পাতলা এই আস্তরণ ভেঙে মিষ্টি খেতে হয়৷
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজির আদর্শে আজও অনুপ্রাণীত দেশের মানুষ। তাঁর আদর্শ জাগিয়ে তোলে মানুষের সমাজ চেতনাকে। 'তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব', এই আদর্শেই বিশ্বাসী ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন এক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। মাতৃভূমির প্রতি সুভাষ ভালোবাসা সর্বজনীন। দেশনায়ক ছাড়াও খাদ্যরসিক ছিলেন। বাঙালি খাবার পছন্দ করতেন। ডাল-ভাত, লুচি, দই, কলা ছিল তাঁর প্রিয় খাবার। খিচুড়ি, সিদ্ধভাত ও মুগ ডালও পছন্দ করতেন। আসলে, আদ্যোপান্ত বাঙালি ছিলেন আমাদের প্রিয় সুভাষ।88976435 88806938